ঢাকাTuesday , 31 December 2024
  1. altro
  2. Раздел
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক খবর
  5. আবহাওয়া
  6. ইসলাম
  7. কুয়াকাটা এক্সক্লুসিভ
  8. খেলাধুলা
  9. জনদুর্ভোগ
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. দূর্ঘটনা
  14. বিনোদন
  15. রাজনীতি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কুয়াকাটায় নেই পর্যটকের ভিড়

rabbi
December 31, 2024 3:23 pm
Link Copied!

মোঃ মাহতাব হাওলাদার, কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ
পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় হাজর হাজার পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে। পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের আশা ছিল এ বছর আরো বেশি পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। সেই আশাতেই অনেক আবাসিক হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আলোক সজ্জা করা হয়েছে। নতুন বছরে পর্যটকদের বরণ করতে তারা প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। কিন্তু চলতি বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটক দর্শনার্থীদের দেখা নেই। এখন পর্যন্ত ২০ ভাগ হোটেল মোটেল রিসোর্টের কক্ষ বুকিং হয়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে হাজার হাজার পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমনে রুম সংকট দেখা দেয়। পর্যটকদের হই হুল্লোড়ে কুয়াকাটা উৎসবমুখর থাকে। কিন্তু এ বছর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা খুবই কম দেখা গেছে। সৈকত এলাকায় পর্যটক দর্শনার্থীদের তেমন একটা ভীড় দেখা যায়নি। এতে হতাশা দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। সৈকতে ঘুরে দেখা গেছে, জিরো পয়েন্টে কিছু সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থী থাকলেও বেশিরভাগ সৈকত এলাকা ফাঁকা। ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী সহ সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছে। নেই বেচাকেনা।
পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীদের ধারণা ছিল ২০২৪ সালের শেষ সূর্যাস্ত এবং ২০২৫ সালের প্রথম সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটায় প্রায় অর্ধলক্ষাধিক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। কিন্তু এত স্বল্প সংখ্যক পর্যটক আসায় তারা হতাশ হয়েছে। করোনাকালীণ ছাড়া সবচেয়ে কম সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটেছে এবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে।
ব্যবসায়ীরা এর জন্য বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে দায়ী করেছেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে গত কয়েক দিন যাবত রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সবার মধ্যে একটা চাপা উদ্বেগ উৎকন্ঠা দানা বেঁধেছে। ৩১ ডিসেম্বর দেশে আবার কি হয়। এমন পরিস্থিতির কারণেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটক আসেনি। তাদের ধারণা এ বছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ৫ হাজার পর্যটকও আসেনি। স্থানীয় কিছু দর্শনার্থী সহ কয়েকজন বিদেশি পর্যটক দেখা গেছে। তবে সে সংখ্যাও খুবই কম।
সৈকতের পেশাদার ফটোগ্রাফার বাবু ক্যামেরা নিয়ে ফাঁকা সৈকতে ঘুরতে ছিল। কথা হয় তার সাথে। বাবু জানান, বীচে যে কয়জন ক্যমেরাম্যান রয়েছে ওই কয়জন পর্যটক নেই। সারা দিন ঘুরে বাজারের টাকা সে আয় করতে পারেনি বলে জানান। পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ইয়ুথ ইন কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাদের মোটেলে ৭৬ টি রুম রয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি রুম বুকিং হয়েছে। বাকি রুম সব ফাঁকা রয়েছে।
আবাসিক হোটেল নীলাঞ্জনার ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে বুকিং নেই। বেশিরভাগ কক্ষ খালি রয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইটে অসংখ্য পর্যটক দর্শনার্থীদের ভীড় জমে। এবছর কোন পর্যটক নেই। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সভাপতি মোতালেব শরীফ বলেন, সিকদার রিসোর্ট, খান প্যালেস সহ গুটি কয়েক হোটেলে মোটামুটি বুকিং রয়েছে। বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল কক্ষ খালি পরে রয়েছে।
তিনি বলেন, এবছর এমন পরিস্থিতির কথা ভাবতেও পারেনি কেউ। তবে তার দাবী রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো থাকলে পর্যটকরা ভ্রমণে বের হতে উৎসাহ পান। এজন্য তারা পর্যটন বান্ধব পরিবেশ তৈরী করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় পর্যটন খ্যাত আলোর মুখ দেখবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।