১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩৯ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রথম মামলায় সাবেক মন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব আমলে নেয়া হয়েছে। যেখানে ৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৭৯ টাকার সম্পদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ২৩ ব্যাংক হিসাবে ২৩ কোটি ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭৬ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রেখার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তিন কোটি ৯২ লাখ ১৯ হাজার ৭৫২ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক তা দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। যার স্বপক্ষে বৈধ মালিকানা পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। এ ছাড়া তার নামে থাকা ১১টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৮ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করায় এই মামলায় স্বামী মো. মহিববুর রহমানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও তাদের উভয় স্বামী স্ত্রীর অঢল সম্পত্তির বিবরনী উল্লেখ পূর্বক বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস্ট দিয়েছেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।