কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
“জীবনের জন্য সাঁতার ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর মহিপুরে উপকূলের ভাসা প্রজেক্টের আওতায় শতাধিক শিশুদের দশ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে সাতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় মম্বিপাড়া গ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রজেক্ট এর সেইভ সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আলোকিত কুয়াকাটা’র সম্পাদক প্রকাশক আনোয়ার হোসেন আনু, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদসহ আরো অনেকে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া, শিশু লামিয়া, সুয়াইয়, রিপা, রবিউল, আব্দুল্লাহ, হাসান সহ অনেকেই সাঁতার শিখে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।
এসময় তারা বলেন, আমরা সাঁতার জানতাম না, দশ দিন প্রশিক্ষণ শেষে সাঁতার শিখতে পেরেছি। প্রথমে পানি দেখে ভয় পেতাম। এখন সাঁতার কাটতে পারি। ভয় কেটে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা উপকূলের মানুষ। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত আমাদের মোকাবেলা করতে হয়। তাই আমাদের বাচ্চাদের সাঁতার জানাটা খুবই জরুরী। যে প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগ নিয়েছে তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুরা এখন পুরোদমে সাঁতার কাটতে পারে।
এ বিষয়ে (সিআইপিআরবি) ভাসা প্রজেক্ট এর সেইভ সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা কলাপাড়া উপজেলায় শিশুদের নিয়ে কাজ করি। বরিশাল ডিভিশনে শিশুদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি বছরে প্রায় ১৯ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হলো প্রতিবছর পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু, এটিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। কলাপাড়া উপজেলায় সব কটা ইউনিয়নে শিশুদের এ সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলছে। এ বছর উপজেরায় পাঁচ হাজার শিশুকে সাঁতার শেখানোর টার্গেট নিয়েছি।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।