কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি সংক্রানত্ম বিরোধের জেরে কহিনুর বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপড়্গরা। এসময় হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে তার ছেলে বশির(৪০) ও ছেলের স্ত্রী শাহিনুর বেগম (৩৫)কে। বুধবার দুপুরে উপজেলার ধুলাস্বার ইউনিয়নের বেতকাটা গ্রামে এঘটনা ঘটে। বর্তমানে কহিনুর যন্ত্রনাকাতর শরীর নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
কহিনুরের স্বামী বারেক হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে বেতকাটা গ্রামের সোনাপাড়া মৌজার ২৮৩৪ দাগের ৭.০১ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো একই এলাকার আমির গাজী গংদের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে স’ানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক বসিয়ে কোন সুরাহা পাননি তিনি। পরে তিনি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন। হাইকোর্ট ওই জমিতে স’াপনা নির্মানসহ কৃষি কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন’ বুধবার দুপুরে ওই জমিতে চাষাবাদ শুরম্ন করে আমির গাজী গংরা। এসময় তাদের বাঁধা দিলে বসার গাজী, সুলতান গাজী, নুর জামাল গাজী ও সোনামেয়া হাওলাদার তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয় বৃদ্ধা কহিনুর বেগমকে। আহত করা হয় তার ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে। পরে স্থানীয়রা কহিনুরকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বৃদ্ধা কহিনুর বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে মারধর শুরম্ন করে। এসময় আমি বাঁধা দিলে আমার মাথায় সোনামেয়া ধরালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আমি তো জমি সংক্রানত্ম কোন কিছুই বুঝি। এই বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে মারধর করা হয়েছে।
এবিষয়ে আমির গাজি জানান, মারধর তো দুরের কথা গতকাল তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সাড়্গাতই হয়নি। উল্টো বারেক হাওলাদার তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়নি করছেন বলে অভিযোগ করেন।
মহিপুর থানার ওসি তদনত্ম হাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি আমাকে বারেক হাওলাদার অবগত করেছে। তাকে থানা অভিযোগ দায়েরের জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস’া গ্রহন করা হইবে।