মোঃ মাহতাব হাওলাদার, মহিপুর।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ উপকূলীয় অঞ্চলে তীব্র তাপদাহ সহ প্রচন্ড গরমে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পরেছে এ অঞ্চলের মানুষ। প্রখর তাপদাহে শুকিয়ে গেছে খাল বিলসহ ফসলি জমি। তাপদাহ থেকে বাঁচতে ও কৃষি কাজের আশায় আল্লাহর দরবারে রহমত বৃষ্টি কামনা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রান মুসুল্লীরা।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নীলগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৃথকভাবে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ নামাজে কৃষক থেকে শুরু করে শতশত মুসুল্লীরা অংশ গ্রহন করেন। এসময় তারা সবাই পরিধেয় পোশাক এবং টুপি উল্টো করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সুলতানগঞ্জ গ্রামের কৃষক ফরিদ মৃধা জানান, বর্তমানে আমনের মৌসুম শেষের দিকে। এই মুহুর্তে বৃষ্টি না হলে আমরা চাষাবাদ করতে পারবোনা। তাই আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে আমরা উল্টো নামাজ আদায় করেছি। কৃষক রহিম খান জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় খাল, বিল ও মাঠ-ঘাট শুকিয়ে গেছে। আমাদের কৃষি কাজ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া মৌসুমী সবজিও চাষ করতে পারছিনা। তাই আল্লাহ যেন আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন, সে কারনেই আমরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি।
মধ্য নীলগঞ্জ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস আকন জানান, নবী করীম হযরত মুহাম্মাদ (স) এই নামাজ আদায় করেছিলেন। এটি মূলত নফল নামাজ। দেশে বালা মসিবত ও অনা বৃষ্টির কারণে আমরা এই নামাজ আদায় করেছি। আল্লাহ চাইলে রহমতের বৃষ্টি হতে পারে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।