মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, মহিপুর থানা প্রতিনিধিঃ
মহিপুরে ৫০ হাজার টাকার পরিবর্তে সাড়ে ৬ লাখ টাকার মামলায় নির্দোষী জাকির মাঝি (৫৫) জেল হাজত বাস করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা নং – সি আর ১৩৯৫/২০২১ইং প্রেক্ষিতে গত ০৪ ফেব্রয়ারী মোঃ জাকির মাঝিকে ধ্রীত করে হাজতে প্রেরণ করেন মহিপুর থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হালিম একতর্ফা প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ায় জামিন হচ্ছেনা জাকির মাঝির।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারী ২২ইং বেলা ১১ টার দিকে মহিপুর প্রেসকাবের হল রুমে উপস্থিত হয়ে অভিযোগকারী মোঃ মিরাজ বলেন, গভীর সমুদ্রে ট্রলার যোগে রুপালী ইলিশসহ নানা প্রজাতীর মাছ শিকার করে তিনি। ট্রলারে প্রায় ১২/১৩জন জেলে নিয়ে মাছ শিকারে যায়। দীর্ঘ বছর মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নের মৎস্যবন্দর আলীপুর বাজারের মুদি দোকানী সোহরাব ষ্টোর থেকে চাল-ডালসহ মুদি মনোহরি বাজার করতেন। ১০ বছর ধরে প্রায় ৫০ লাখ টাকার বাজর করেন ওই সোহরাব ষ্টোর থেকে। এর মধ্যে বর্তমানে মাত্র ৫০/৫৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে ওই সোহরাব স্টোরে। বর্তমানে তার ট্রলার নষ্ট হওয়ায় বন্ধ রয়েছে মাছ শিকারের ব্যাবসা। এবং ওই দোকানের যতো বাজারেরর ম্যামো (চোতা) সম্পূর্ন মিরাজের নামে রয়েছে। কিন্তু তার পিতা জাকির মাঝির বিরুদ্ধে এহেন মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
মিরাজ আরো জানান, তার পিতা একজন ট্রলার মাঝি বিধায় ভিন্ন এক ট্রলার মালিকের সাথে মাছ শিকারে যায় গভীর সমুদ্রে। ওই ট্রলারের মুদি মনোহরী বাজার অন্যদোকানীদের কাছ থেকে ক্রয় করছে ট্রলার মালিক। ফলে সেই রেস টেনে তার পিতা জাকির হোসেন মাঝির বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ষ্ট্যাম্প তৈরী করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। সোহরাব ষ্টোরের মালিক সোহরাব হোসেন হাওলাদারের পুত্র বজলু মিয়া, লালশায় লিপ্ত হয়ে নির্দোষী জাকির মাঝিকে ফাঁসিয়েছে। ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক স্বঠিক বিচারের দাবী জানান মিরাজ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহিপুর থানার এস আই হালিম জানিয়েছেন, স্বাক্ষীদের জবানবন্ধী নিয়েই প্রতিবেদন দিয়েছেন, বিবাদীদের কাছে জিজ্ঞাসা করার কি আছে। যেহেতু স্ট্যাম্প আছে। ষ্ট্যাম্পের স্বাক্ষর জালিয়া করা হয়েছে গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা হলে কোর্টে প্রমাণ করতে হবে।