মোঃ মাহতাব হাওলাদার, মহিপুর।।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মধুখালী শাখা নদীতে ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোঃ রাসেল রনি, মোঃ মাইনউদ্দীন ও উপ-সহকারী পরিচালক, সমীরন কুমার মন্ডল এর সমন্বয়ে কলাপাড়া উপজেলা।
পটুয়াখালীতে একটি এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট চলাকালে টিম সরেজমিনে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী শাখা নদীতে নির্মাণাধীন পার্ডার ব্রিজের নির্মান কাজ পরিদর্শন করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কাজের টেন্ডার ও কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। মেসার্স কাসেম কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স পল্লী স্টোর্স (জেভি) ৩,২৭,৩৩,৯৭৫/৭৪ (তিন কোটি সাতাশ লক্ষ তেত্রিশ হাজার নয়শত পচাত্তর টাকা চুয়াত্তর পয়সা) টাকায় কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১৭/১০/২০১৯ খ্রি. তারিখে প্রকল্পটি সমাপ্ত করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০/০৮/২০২১ তারিখ পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনগন ব্রিজের কাজের জন্য মরিচাপড়া রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে মর্মে জানায়। তৎপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনগণ ও প্রকৌশলীগণের উপস্থিতিতে ঠিকাদারের সাইট রুমে প্রবেশ করে মরিচাপড়া রড ও জমে যাওয়া সিমেন্ট দেখা যায়। এ বিষয়ে এলজিইডি, কলাপাড়া, পটুয়াখালীর উপজেলা প্রকৌশলী জনাব মহর আলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী জনাব মোঃ আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নাই।
সরেজমিনে ব্রিজের কাজের অনেক ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। ব্রিজের মূল অংশের কাজ সমাপ্ত হলেও দুই পার্শ্বের রেলিং ও অন্যান্য কাজ শেষ করা হয়নি। এছাড়াও ব্রিজের মূল স্লাভের কাজ হলেও দুই পার্শ্বের এপ্রোচ সড়কের কোন কাজই করা হয়নি। প্রকল্পের কাজ প্রায় ৫০% বাকি থাকলেও ২১/১১/২০২১ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৩,০৪,৮১,৭২৪/- (তিন কোটি চার লক্ষ একাশি হাজার সাতশত চব্বিশ) টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে।
অভিযান শেষ করে এনফোর্সমেন্ট টিম দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীতে ফিরে আসে এবং কর্তৃপক্ষকে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের নিকট প্রেরণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
👉পত্র প্রেরণ:
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।