জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে মহিপুর থানা পুলিশ ও উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদের আন্তরিক সহযোগীতায় বেঁচে গেলেন ১১নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রর্থী এস, এম, মোঃ ওয়ালিউল্লাহ সিকদার নান্নু ও মহিলা ইউ,পি সদস্য তার বোন।
ওয়ালিউল্লাহ নান্নু গনমাধ্যমকে জানায়, গত ৭ ই ফেব্রুয়ারি রবিবার শেষবিকেলে একই ইউনিয়নে বরকতিয়া গ্রামে তার নিকট আত্মীয়র জানাযার নামাজ আদায় করে তার বসত বাড়িতে ফিরে আসছিলেন তিনি ও তার বোন (বর্তমান ইউ,পি সদস্য)। পথিমধ্যে মাগরিব আযান শুনে তিনি শুকডুগী ভেরিবাঁধ সংলগ্ন তার আরেক আত্মীয় মোঃ সিদ্দিক মৃধার বাড়িতে মাগরিব নামাজ আদায় করে ফেরার পথে প্রায় ৮/৯ জন লোক তার উপর হামলা করার চেষ্টা করে। চিৎকার দিয়ে তিনি এবং তার বোন ছুটে তার আত্মীয় মোঃ সিদ্দিক মৃধার বাড়ি আশ্রয় নেন। কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ নশা মৃধা, মোঃ তালেব খান, মোঃ জাহাঙ্গীর মাস্টার, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ মিলকান, মোঃ হাসান ও মোঃ দুলাল সহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক জড় হয়ে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে তিনি গনমাধ্যমকে জানয়। এর পরে তিনি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে প্রান রক্ষার সহায়তা কামনা করেন এবং পরবর্তিতে স্থানীয় গনমাধ্যমকে ফোন করে তাকে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, তফসিল ঘোষনার পর থেকেই বর্তমান আওয়ামী ক্ষমতাসীন দলের কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া এবং বিভিন্ন ভাবে তাদের হুমকি প্রদান করে আসছে বলে অভিযোগ করেন। সতন্ত্র প্রার্থী নান্নু সিকদারের বোন সুষ্ঠ নির্বাচন দাবি করে বলেন, তারা সব সময় ভয়, আতংক নিরাপত্তাহীন সময় অতিবাহিত করছেন। মোঃ নশা মৃধার কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এস,এম ওলিউল্লাহ নান্নু নির্বাচনী আচারন বিধি লঙ্গন করে,১২ ই ফেব্রুয়ারি প্রতিক বরাদ্দ পূর্বে সকল প্রচারনা নিষেধ উপেক্ষা করে, সে উক্ত স্থানে মানুষ জমায়েত করে তার নির্বাচনী প্রচারনা করেন। তাই তাকে বাধা প্রদান করতে গেলে তার সাথে থাকা লোকজন লাঠিসোটা নিয় তেড়ে আসে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, তিনি তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি বলে গনমাধ্যমকে জানান। এদিকে ঘটনা স্থলের বাড়ির মালিক মোঃ সিদ্দিক মৃধা ও উপস্থিত প্রতক্ষ্যদর্শীরা নির্বাচনি আচারন লঙ্ঘন ও কোন নির্বাচনী প্রচারনা করা হয়নি এবং এটা পূর্বপরিকল্পিত একটা হামলা বলে জানান। পরবর্তিতে সকল পরিস্থিতি পুলিশের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয়ে যায়।পরবর্তিতে ওলিউল্লাহ নান্নু সিকদার, তার বোন সহ সকলকে রাত ১০:৩০ মিনিটে উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মী এবং মহিপুর থানা পুলিশের সহায়তায় নিরপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়। সে সময় এই বিষয় মহিপুর থানা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে জানাযায়। উলেখ্য গত বছরের ২৭ নভেম্বর ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুস সালাম সিকদার এর মৃত্যুর পর ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে পরে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩ ই ফেব্রুয়ারি (বুধবার) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ, ৪ ই ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাছাই শেষে, ১১ ই ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেষ ও ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিক বরাদ্দ তারিখ ধার্য্য করা হয়। আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারি (রবিবার) সাকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শূন্য কোঠায় উপ নির্বাচান।