ঢাকাMonday , 26 February 2024
  1. blog
  2. Mail Order Brides
  3. Online dating
  4. অপরাধ
  5. আইন আদালত
  6. আন্তর্জাতিক খবর
  7. আবহাওয়া
  8. ইসলাম
  9. কুয়াকাটা এক্সক্লুসিভ
  10. খেলাধুলা
  11. জনদুর্ভোগ
  12. জাতীয়
  13. জেলার খবর
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দূর্ঘটনা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিলুপ্তির পথে মহিষ পালন

rabbi
February 26, 2024 5:53 am
Link Copied!

মহিপুর থেকে :

পটুয়াখালীর জেলার মহিপুর থানা এলাকায় পূর্বের মতো দেখা যাচ্ছেনা প্রানীসম্পদ গবাদী পশু মহিষের পাল। গ্রাম বাংলায় একটা সময় অধিকাংশ বাড়িতে পারিবারিকভাবে মহিষ পালন দেখা যেত। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে গ্রামাঞ্চলের বিলের দিকে তাকালে দেখা যেত মহিষের পাল। দল বেঁধে খাওয়া আর বিলকে মাতিয়ে রাখাই ছিল মহিষের কাজ। গ্রামের মধ্যে যাদের বেশি পরিমাণে জমি থাকত তাদের মহিষও বেশি থাকত। মহিষের মাংস আর দুধের জন্য লালন-পালন করত তখনকার কৃষকেরা। হালচাষের জন্য ছিল মহিষের আলাদা কদর। সে সময়ে দল বেঁধে মহিষ দেখা মিলত বিলে। সময়ের পরিবর্তনে এখন আর চোখেই পড়ে না মহিষ পালন। দলবেঁধে ঘুরতে দেখা যায়না বিলে। বর্ষা মৌসুমে হালচাষে নেই মহিষের উপস্থিতি। দুধ আর মাংসের জন্য বিখ্যাত হলেও এখন আর নেই এসবের বিরল বিচরণ, বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যের মহিষ পালন।


পটুয়াখালীর মহিপুর থানা এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে দেখা গেছে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারে বাবা দাদার পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখে মহিষ পালন করছে। একদিকে মহিষের খাদ্য সংকট অন্যদিকে গ্রামগঞ্জের খাল দখল হয়ে যাওয়ায় পানি না থাকায় একেবারে হারিয়ে যেতে বসছে মহিষ পালন।

কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, একটা সময় আমরা বিলে মহিষ ছেড়ে দিয়ে লালন পালন করতাম। পুরো খালে বিলে পানি আর ঘাসে পরিপূর্ণ থাকত। রোগ বালাই কম হত। বিশেষ করে হালচাল করার প্রধান মাধ্যম ছিল মহিষ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা হাল চাষ করা যেত। তখনকার সময় পাওয়ার টিলার ছিলোনা। খরচ লাগত কম হালচাষে। মহিষ না থাকায় এখন আর মহিষ দিয়ে কেউ চাষাবাদ করেনা। আমরা যারা মহিষ লালন পালন করি এখন আমরা খুব কষ্টে আছি। খাবার, পানি, চিকিৎসা সব মিলিয়েই সংকট। হয়ত কয়েক বছর পর কেউ মহিষ পালন করবেনা।

লতাচাপলী ইউনিয়নের পুনামা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. নেছার উদ্দিন খান বলেন, আমাদের একটা সময় ৫০ থেকে ৬০টি মহিষ ছিল। এ গ্রামে অনেকেই মহিষ পালন করত। এখন আমাদের পরিবারে ১০টির মত মহিষ আছে। খাবার ও পানির অভাবের কারণে মহিষ পালন করা যায়না। মহিষের খাবার কিনে খাওয়ানো সম্ভব নয়। প্রতিদিন ২মন খাবার ও ১মন পানির প্রয়োজন হয়। এখন আর মহিষ দিয়ে হাল চাষ হয়না। সব মিলিয়ে বিলুপ্ত প্রায় এ মহিষ জাতটি।

একই এলাকার বাসিন্দা মস্তফা মল্লিক বলেন, মহিষ পালনে লাভবান হওয়া যায়। একটা ১বছর বয়সি মহিষের বাচ্চা ৫০-৬০ হাজার টাকায় বিক্রি সম্ভব। প্রতিদিন ৫-৬ কেজি দুধ দোহন করা সম্ভব। একটা মহিষ জবাই করলে প্রায় ৬মন গোসত পাওয়া যায়, এসবের পরও কিন্তু খাবার, ঔষধ ও পানির সংকটে অনেক কৃষক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
পশু চিকিৎসক আবুল কালাম জানান, নীলগঞ্জ ইউনিয়নে হাতে গোনা ৩টা ৪টা পরিবারে দেখা যায় মহিষ পালন। তবে খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজলভ্য হলে আগ্রহ বাড়ত কৃষকদের।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফজলুল হক সরদার বলেন, মহিষ পালন একেবারে কমে যাচ্ছে ধারণা ভুল। কলাপাড়া উপজেলায় দুটি উৎপাদন গ্রুপ আছে। প্রত্যেক গ্রুপে ৪০ জন সদস্য আছে। কলাপাড়া উপজেলায় প্রায় ১৩হাজার মহিষ আছে যা পারিবারিক খামারে বেড়ে উঠছে। তবে খাদ্য সংকট আছে, আমরা মুজিব কিল্লায় এবং পরিত্যক্ত জঙ্গলে ঘাস উৎপাদন করা যায় কিনা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
x