দুমকি প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকিতেস্থা নীয় ইউপি সদস্য কর্তৃক এক স্কুল শিক্ষকের গাছ কেটে নিয়ে বিক্রির ঘটনায় বেশ কয়েকবার থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে। অসহায় হয়ে ন্যায় বিচারের জন্য এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অই স্কুল শিক্ষক।
ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক মোঃ মামুন খান ফারুকী জানান, গত (৭ জুন) তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকা গেলে তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড’র ইউপি সদস্য মোঃ বাদল মীরা তার সহযোগী রায়হান মিয়া, সোহাগ মিয়া, আলামিন ও ইলিয়াসকে সাথে নিয়ে আমার ক্রয়কৃত ও এক যুগ ধরে ভোগদখলীয় জমি থেকে তিনটি ফলন্ত কাঁঠাল গাছ, সাতটি মেহগনি গাছ, চৌদ্দটি চাম্বল গাছ সহ মোট চব্বিশটি গাছ কেটে নেয়। ১২ তারিখ সন্ধ্যায় চিকিৎসা গ্রহণ শেষে আমি ঢাকা থেকে দুমকিতে ফিরে দেখি আমার জমি থেকে গাছ কেটে নিয়ে শ্রীরামপুরের বাসিন্দা পলাশ মিয়ার কাছে গাছগুলো বিক্রি করেছেন বাদল মীরা। । পরবর্তীতে বাদল মেম্বারের কাছে গাছ বিক্রির কারণ জানতে চাইলে বাদল মীরা ও তার সহযোগীরা আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে খুন করার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে গাছ ক্রেতা পলাশ মিয়া জানান, আমি বাদল মেম্বারের কাছ থেকে গাছ কিনেছি। তবে আমি যদি জানতাম এখানে ঝামেলা আছে তাহলে গাছ কিনতাম না।
ইউপি সদস্য বাদল মীরা গাছ বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি কেন গাছ বিক্রি করতে যাব এটা একদম মিথ্যা কথা। যাদের গাছ তারা বিক্রি করেছে তবে ইউপি সদস্য হিসেবে গাছ বেচা বিক্রির ঘটনা আমি জানি।
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম বলেন, মামুন খান ফারুকী এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা রুজু করা হবে।