ঢাকাFriday , 4 June 2021
  1. blog
  2. Online dating
  3. অপরাধ
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক খবর
  6. আবহাওয়া
  7. ইসলাম
  8. কুয়াকাটা এক্সক্লুসিভ
  9. খেলাধুলা
  10. জনদুর্ভোগ
  11. জাতীয়
  12. জেলার খবর
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দূর্ঘটনা
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হিমশিম খাচ্ছে উন্নত বিশ্বও সাইবার দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে

rabbi
June 4, 2021 5:20 pm
Link Copied!

নতুন প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক পুরোনো ধাঁচের অপরাধ নতুন করে করতে পারছে দুর্বৃত্তরা। অনলাইনে নানা রকম ফাঁদ পেতে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে।

প্রথম আলো ডেস্ক

নির্ভুল বার্তা ডেস্কঃ

অনলাইনে নানা রকম ফাঁদ পেতে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বিশ্বজুড়েই। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশেও এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা অহরহ ঘটছে।
ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট বিশ্বজুড়ে সাইবার প্রতারণা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ইকোনমিস্ট বলছে, উন্নত দেশগুলোতে অন্যান্য অপরাধের হার তুলনামূলক কম হলেও সাইবার অপরাধের হার ব্যাপকভাবে বাড়তে দেখা গেছে। যুক্তরাজ্যের ব্যাংকগুলোর ট্রেড সংস্থা ইউকে ফাইন্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ট্যাক্স সংগ্রহকারীর নাম উল্লেখপূর্বক ফোন করে প্রতারণার হার যুক্তরাজ্যে দ্বিগুণ হয়েছে।

অন্য দেশেও এ ধরনের প্রতারণার হার নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। ক্রাইম সার্ভে অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ২০১৯ সালে ৩৮ লাখ অনলাইন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, যা দেশটিতে মোট অপরাধের এক-তৃতীয়াংশ। ২০১৭ সালে দেশটি এ ধরনের তথ্য সংগ্রহ শুরু করার পর থেকে প্রতিবছর সাইবার জালিয়াতির ঘটনা বাড়তে দেখেছে। দেশটির প্রায় ৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই জালিয়াতির শিকার হন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১৫ শতাংশের বেশি মানুষ এক হাজার ডলারের বেশি অর্থ খুইয়েছেন। যুক্তরাজ্যের মতোই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। গত বছর দেশটিতে ইন্টারনেটে প্রতারণা ৬৯ শতাংশ বেড়েছে। দেশটিতে ইন্টারনেটে প্রতারণায় গত বছর মোট লোকসান হয়েছে ৪২০ কোটি ডলার, যা ২০১৭ সালের তুলনায় তিন গুণ বেশি।বিজ্ঞাপন

শুধু ইন্টারনেটে জালিয়াতি বা প্রতারণাই নয়, গত বছর থেকে ইন্টারনেটভিত্তিক অন্য অপরাধও বাড়ছে। বিশেষ করে কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে তৈরি স্প্যাম কল ও টেক্সট মেসেজ পাঠানোর হার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এর মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া ব্যাপকভাবে বেড়েছে অবৈধ জুয়ার ওয়েবসাইট, যা গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ধরনের জুয়ার ওয়েবসাইট কয়েক গুণ বেড়েছে।

আজকের দিনে বড় অপরাধ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বাস্তবায়ন করে দুর্বৃত্তরা। এ ক্ষেত্রে তাদের সিস্টেমে ঢুকতে বাধার পরিমাণ থাকে খুবই কম। এর কারণ হচ্ছে পুরো ইন্টারনেট অবকাঠামো হ্যাকারবান্ধব।

নাইজেল লিয়ারি, এনসিএ কর্মকর্তা

ইকোনমিস্ট তাদের বিশ্লেষণে আরও বলেছে, নতুন প্রযুক্তির সহায়তায় অনেক পুরোনো ধাঁচের অপরাধ নতুন করে করতে পারছে দুর্বৃত্তরা। প্রযুক্তি তাদের কাজ আরও সহজ করে দিয়েছে। যেমন মাদক পাচারকারীরা ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহার করে লেনদেন করছে। তারা অপরাধী চক্রের বিশেষ এনক্রিপটেড নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার ব্যবহার করে অপরাধ বাড়িয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) কর্মকর্তা নাইজেল লিয়ারি বলেছেন, এমন কোনো সংগঠিত গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ নেই, যেখানে ডিজিটাল অনুষঙ্গ ব্যবহার করা হয় না।

বেড়েছে র‌্যানসমওয়্যার

গত বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ‘র‌্যানসমওয়্যার’। এটি মূলত একধরনের হ্যাকিং আক্রমণ। এতে ভুক্তভোগীর কম্পিউটারে ফাইল আটকে দেওয়া হয় এবং এর বিনিময়ে অর্থ দাবি করা হয়ে থাকে। এর আগে এ ধরনের আক্রমণ ছিল বড় ধরনের নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে। কিন্তু এখন র‌্যানসমওয়্যার স্প্যাম ই–মেইলের মাধ্যমে সাধারণ ব্যবহারকারীর কম্পিউটারেও চলে আসছে। তবে এ ক্ষেত্রে খুব অল্প পরিমাণ অর্থ দাবি করা হয়, যাতে মানুষ অর্থ পরিশোধ করে ঝামেলা দ্রুত শেষ করতে উৎসাহী হয়ে ওঠে।

সাধারণ ব্যবহারকারীর পাশাপাশি এখনকার হ্যাকাররা বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়ে বড় র‌্যানসম বা মুক্তিপণ দাবি করে থাকে। এ ক্ষেত্রে ক্ষতিকর সফটওয়্যার নির্দিষ্ট কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করানো হয়। এ ক্ষেত্রে হ্যাকাররা ফাইল আটকে দেওয়া বা লক করার আগে তা কপি করে রাখে। এরপর ওই ফাইল খোলার জন্য অর্থ দাবি করতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে তাদের দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ বাড়াতে থাকে।

হ্যাকাররা নিয়মিতভাবে সাইবার হামলা চালিয়ে আসছে। ছবিটি প্রতীকী।
হ্যাকাররা নিয়মিতভাবে সাইবার হামলা চালিয়ে আসছে। ছবিটি প্রতীকী। 

হ্যাকাররা বেশির ভাগ সময় বিটকয়েনে অর্থ পরিশোধ করতে বলে। চেইন অ্যানালাইসিস নামের একটি সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বলেছে, গত বছর বিটকয়েনের মাধ্যমে র‌্যানসমে অর্থ পরিশোধ করার বিষয়টি ২০১৯ সালের তুলনায় ৩১১ শতাংশ বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী বেশি ব্যবসায়ীরা। তবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাও সাইবার দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের মতো নিরাপত্তা বাহিনীও ভুক্তভোগী। গত ২৭ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসির পুলিশ জানায়, তারা হ্যাকারদের হামলার শিকার হয়েছে। হ্যাকাররা তাদের স্পর্শকাতর তথ্য সন্ত্রাসীদের কাছে উন্মুক্ত করার হুমকি দেয়।

সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞানী অ্যালান উডওয়ার্ড এ প্রসঙ্গে বলেন, সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে বিশ্বে একক বৃহত্তম হুমকি র‌্যানসমওয়্যার।
২৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান আলেজান্দ্রো মায়োরকাস একে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেন।বিজ্ঞাপন

র‌্যানসমওয়্যারের ক্ষয়ক্ষতি

ট্রাভেলেক্স নামের যুক্তরাজ্যের মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান গত বছর ধসে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ৩০০ কর্মীর চাকরি চলে যায়। এর পেছনে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির সাইবার হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টিকে দায়ী করা হয়। এ ছাড়া ফ্লোরিডার ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি স্কুল সিস্টেমে গত মার্চ মাসে এক হামলায় চার কোটি ডলার বিটকয়েনে দাবি করে দুর্বৃত্তরা। ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোর কাউন্টিতে এক স্কুলে র‌্যানসমওয়্যার আক্রমণের পর কয়েক দিন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। র‌্যানসমওয়্যারের কবলে পড়ে ২০১৯ সালে বাল্টিমোর সিটির পাশের একটি শহরের কর্তৃপক্ষকে ১ কোটি ৮০ লাখ অর্থ লোকসান দিতে হয়।

সাইবার অপরাধীরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে
সাইবার অপরাধীরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই করোনা মহামারির সময় হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। ফ্রান্স গত বছর হাসপাতালে ২৭ বার আক্রমণের বিষয়টি জানায়। হাসপাতালে র‌্যানসমওয়্যার আক্রমণের হার বেড়েছে ২৫৫ শতাংশ। এ ধরনের আক্রমণে জার্মানি ও আমেরিকায় চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

আক্রমণের উৎস

এ ধরনের আক্রমণ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চালানো হতে পারে। তবে ইকোনমিস্ট বলছে, এ ধরনের আক্রমণ বেশি চালানো হয় রাশিয়া থেকে। এ ছাড়া পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশ ও চীনের হ্যাকাররাও এর পেছনে থাকতে পারে। রাশিয়া ও বেলারুশে সাইবার অপরাধ বাড়ার কারণ হচ্ছে, রাষ্ট্র তাদের মদদ দেয়। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের হ্যাকারদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সম্পর্কও থাকে।

আক্রমণের ধরন

সাইবার দুর্বৃত্তরা সাধারণত মাদক ব্যবসায়ী বা মাফিয়াদের মতো অত্যন্ত সুসংগঠিত হয়ে কাজ করে না। তাদের ক্ষমতা আসে বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতি থেকেই। প্রতিটি অপরাধের পৃথক উপাদানগুলো সংগঠকদের একটি পরিষেবা হিসেবে সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ একেক দল একেকটি কাজ করে থাকে। কেউ হয়তো সফটওয়্যার তৈরি ও বিক্রি করে।

অন্য কেউ কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার বসাতে কাজ করে। কেউ কেউ র‌্যানসম বসায় ও অর্থ সংগ্রহ করে। কেউ কেউ পুরো কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় অর্থ বিনিয়োগ করে। বিষয়টি এমনভাবে হয়, যাতে কেউ কারও পরিচয় বা অবস্থান জানতে পারে না।

‘ফাইভ আইজ’ নামের একটি জোট গঠন করেছে কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড। তারা সাইবার অপরাধ ঠেকাতে পারস্পরিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে থাকে।

এনসিএ কর্মকর্তা নাইজেল লিয়ারি বলেন, আগে ব্যাংক ডাকাতির বিষয়টি ছিল কারিগরি। ১৯৮৩ সালে হিথ্রো বিমানবন্দরের একটি ওয়্যারহাউস থেকে ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ, হিরে ও নগদ অর্থ ডাকাতি হয়। এতে বিশাল পেশাদার কর্মী বাহিনী দরকার পড়েছিল, যাঁরা পরস্পরের পরিচিত ও বিশ্বস্ত ছিলেন। কিন্তু আজকের দিনে এ ধরনের বড় অপরাধ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বাস্তবায়ন করে দুর্বৃত্তরা। এ ক্ষেত্রে তাদের সিস্টেমে ঢুকতে বাধার পরিমাণ থাকে খুবই কম। এর কারণ হচ্ছে পুরো ইন্টারনেট অবকাঠামো হ্যাকারবান্ধব। ক্রিপ্টোকারেন্সি এর মূল।

মাইক্রোসফটের ডিজিটাল অপরাধ বিভাগের আইনজীবী কেমবা ওয়ালডেন বলেন, ফাইল আটকে অর্থ হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহার করতে পছন্দ করে দুর্বৃত্তরা। কারণ, এতে তুলনামূলকভাবে পরিচয় গোপন করার সুবিধা বেশি। ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ার সঙ্গে যতক্ষণ না পর্যন্ত বাস্তবের পরিচয় না ঘটানো হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সর্বশেষ অর্থগ্রহীতার পরিচয় বের করা সম্ভব নয়। অপরাধীরা পরস্পরের মধ্যে পরিচয় গোপন করেই বিটকয়েন লেনদেন করতে পারে। তবে অধিকাংশ ধনী দেশে বিটকয়েন লেনদেনের সময় গ্রাহকের পরিচয় জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কয়েকটি দেশে নিয়ন্ত্রণ কম। যেমন চীন ও রাশিয়ায় চোরাই অর্থের ঠিকুজি বের করা অত্যন্ত কঠিন।

ভবিষ্যৎ আরও কঠিন

এ ধরনের অপরাধের ভবিষ্যৎ কী? র‌্যানসমওয়্যার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিরোধী প্রযুক্তিশিল্পও বড় হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ মাইকেল লেভি বলেন, সাইবার অপরাধকে এখন বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিরাপত্তাপ্রযুক্তি নিয়ে গুণগান গায়। কিন্তু তাদের সমস্যা হলো হ্যাকিং রিপোর্ট বা প্রতারণার বিষয়টি সামনে আনে না। তা হ্যাকাররা তথ্য হাতিয়ে নিলে তারা নিজেরা ক্ষতির মুখে পড়ে।

এখন সাইবার অপরাধ ঠেকাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এখন সাইবার অপরাধ ঠেকাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে কোনো সাধারণ মানুষ সাইবার হামলার শিকার হলে পুলিশের কাছে যান কম ক্ষেত্রে। এ ধরনের ক্ষতি পরোক্ষভাবে নিজেই বহন করেন। আবার ব্যাংক ও বিমা প্রায়ই ক্ষতিপূরণ দেয়। তাই সাইবার অপরাধীরা এ ক্ষেত্রে দিন দিন উৎসাহী হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বলছে, প্রচলিত অনেক অপরাধ এখন সাইবার অপরাধের দিকেই ছুটছে। পুলিশকেও তাই ভাবতে হচ্ছে সাইবার অপরাধীদের মতো করেই। পুলিশের পক্ষ থেকেও অপরাধীদের ধরতে সাইবার অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।বিজ্ঞাপন

গত মার্চে বেলজিয়ামে একটি শিপিং কনটেইনারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২৮ টন কোকেন, নগদ অর্থ, অস্ত্র, পুলিশের ইউনিফর্ম ও টর্চার চেম্বারের খোঁজ পায়। ওই অপরাধীরা স্কাই ইসিসি নামের এনক্রিপটেড ফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করত। কানাডার একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ প্রযুক্তি নিয়েছিল তারা। এতে ফোনে অপরাধীদের সব কার্যক্রম লুকানো যেত। এতে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন, মেসেজ স্বয়ংক্রিয় বার্তাসুবিধা ছিল। তবে এতে জিপিএস ডেটা ছিল না। এর সাবস্ক্রিপশন বিটকয়েনে পরিশোধ করতে হয়। এতে তারা পরিচয় গোপনের ব্যাপক সুবিধা পায়। তবে ইউরোপিয়ান পুলিশ ওই অপরাধীদের ওপর নজরদারি করতে তাদের ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাতে সক্ষম হয়।

বিভিন্ন দেশের সরকার এখন সাইবার অপরাধ দমনকে অনেক গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ র‌্যানসমওয়্যার ঠেকাতে একটি বিশেষ দলকে নিয়োগ দিয়েছে। এ ছাড়া ‘ফাইভ আইজ’ নামের একটি জোট গঠন করেছে কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড। তারা সাইবার অপরাধ ঠেকাতে পারস্পরিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে থাকে। তবে সাইবার অপরাধীদের ঠেকাতে আরও দূর যেতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
x