ঢাকাThursday , 27 May 2021
  1. blog
  2. Mail Order Brides
  3. Online dating
  4. অপরাধ
  5. আইন আদালত
  6. আন্তর্জাতিক খবর
  7. আবহাওয়া
  8. ইসলাম
  9. কুয়াকাটা এক্সক্লুসিভ
  10. খেলাধুলা
  11. জনদুর্ভোগ
  12. জাতীয়
  13. জেলার খবর
  14. তথ্যপ্রযুক্তি
  15. দূর্ঘটনা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অনলাইন ব্যবসার সর্বাধিক সুবিধা কাজে লাগাতে, ডাক অধিদপ্তরকে: প্রধানমন্ত্রী

rabbi
May 27, 2021 9:34 pm
Link Copied!

 নির্ভুল বার্তা ডেস্কঃ

অনলাইন ব্যবসার সর্বাধিক সুবিধা কাজে লাগাতে ডাক অধিদপ্তরকে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় জনপ্রিয়তা লাভ করায় ডাকবিভাগের জন্য এটি হবে বড় ব্যবসা ক্ষেত্র। তাই ডাকঘরকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। এ ব্যাপারে ডাক অধিদপ্তরকে আরও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি তিনি ‘ডাকভবন’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। একইদিন, ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি পুরো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাটাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রেলকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজে হাত দেয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ১৪ তলাবিশিষ্ট লেটার বক্সের আকৃতিতে নির্মিত ডাক বিভাগের নতুন সদর দপ্তর ডাক ভবনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডাক বিভাগের পরিবহণ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে ১১৮টি ডাক গাড়ি সংযোজন করেছি। এসব গাড়িচালনার জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীকে গাড়িচালক হিসাবে নিয়োজিত করেছি। তিনি বলেন, ‘ডাক বাছাই ত্বরান্বিতকরণ ও পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য চিলিং চেম্বারের সুবিধা সংবলিত ওয়্যারহাউজযুক্ত ১৪টি অত্যাধুনিক মেইল প্রসেসিং ও লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টার নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে। প্রথমে আমরা বিভাগ এবং জেলা পর্যায়ে এগুলো করছি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এখন অনেক ক্ষেত্রে অনলাইন সেবা চলছে, অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় চলছে। পচনশীল জিনিস অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে ফলমূল তরিতরকারি এগুলো যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কেউ রান্না করে যেন অন্য জেলায় আত্মীয়ের কাছে খাবার পাঠাতে পারেন। এজন্য চিলিং সিস্টেম বা কুলিং সিস্টেম খুব দরকার। ফ্রিজিং টেম্পারেচারের কারণে পণ্যদ্রব্য নষ্ট হবে না। তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে এক রকম সেন্টার থাকবে। যেখান থেকে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তিনি বলেন, সঠিক ব্যক্তির কাছে যেন পণ্যদ্রব্য পৌঁছায় সে ব্যবস্থা ডাক বিভাগকে নিতে হবে। ডাক সেবাটাকে একেবারে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।

৩৮টি মডেল ডাকঘর নির্মাণের কাজ সরকার হাতে নিয়েছে- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশে এটা করা হবে। যাতে ঘরে বসে অনেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এতে মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হবে তেমনি মানুষ সেবাও পাবেন। সরকার ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের রূপরেখার আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ডাকপরিষেবা বাড়াতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার ডাকবিভাগের কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা নিরসনে মতিঝলে আটটি ২০ তলা ভবনে মোট ৬০৮টি ফ্লাট নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে। ফ্লাটগুলো সাইজেও বড় করা হয়েছে। ৪৫০ বর্গফুট থেকে এগুলো ৬৫০ বর্গ ফুট করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সৌরবিদ্যুৎ, আধুনিক লিফট, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, স্যুয়ারেজ-ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, খেলার মাঠ, পুকুর, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদির সংস্থান রয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ ডাকঘরে কর্মরত ডাক কর্মীদের সম্মানী ভাতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি করলেও তা বর্তমান বাজারে যথেষ্ট নয়। এ ব্যাপারে ডাক বিভাগও ব্যবস্থা নিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ডাক বিভাগের লভ্যাংশ থেকে একটি অংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতার জন্য বরাদ্দ করলে ভালো হয়। সরকারের পক্ষ থেকেও যেটুকু করার তা করা হবে।

ডাকভবনের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। এ অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আফজাল হোসেন বক্তব্য দেন। এতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আধুনিক স্থাপত্য নকশায় ১৫০ ফুট উঁচু ও গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধাসংবলিত ডাকভবন নির্মাণে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটোরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ও সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন উদ্বোধন : স্বল্প ব্যয়ে আম পরিবহণের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটি উদ্বোধন করে তিনি বলেন, এটি চালু হওয়ায় আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। সহজে কৃষিপণ্য বাজারমুখী করার পথও প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে ভোক্তাদের সুলভ মূল্যে আম ক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর জন্য রেলের অনেক লাইন, যোগাযোগ এবং রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে যায়, গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে রেলের অনেক অভিজ্ঞ লোককে তারা বিদায় করে দেয়। পুরো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে তারা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, তার সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর ওপরে রেল যোগাযোগ স্থাপন করে। একইসঙ্গে রেলকে পুনরুজ্জীবিত করার কাজ তারা হাতে নেন। তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হলো একদিকে মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন চলবে তেমনি মানুষের যাতায়াতটাও সহজ হবে। তিনি বলেন, অন্যের পরামর্শ নিয়ে আমরা চলি না। বাংলাদেশটা কিভাবে চলবে, উন্নত হবে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কিভাবে পরিবর্তন হবে, মানুষের কিভাবে উন্নতি হবে সেটাকেই আমরা গুরুত্ব বেশি দেই। এ কারণে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। যেসব এলাকায় রেল নেই সেখানেও রেল সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে সরকারের ব্যাপক রেল নেটওয়ার্ক স্থাপনের চিত্র তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এছাড়া ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যেসব স্থানের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পুনঃস্থাপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন মাগুরা রেলস্টেশন থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত চলাচল করবে বিশেষ ট্রেনটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনটি বিকাল সাড়ে ৪টায় ছাড়বে। ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এবং ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছবে রাত ২টায়। আম নামিয়ে রাতেই ট্রেনটি আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে। মালামাল তোলার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ, আমনুরা, রহনপুর, কাঁকন, রাজশাহী, হরিয়ান, সরদাহ, আড়ানী, আবদুলপুর স্টেশনে থামবে এ ট্রেন।

সূত্র জানায়, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে প্রতি কেজি পণ্য পরিবহণে খরচ পড়বে মাত্র ১ টাকা ১৭ পয়সা। সেখানে কুরিয়ার সার্ভিসে প্রতি কেজি আম পরিবহণে খরচ পড়ে ২০ টাকার মতো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
x