
মার্চ-এপ্রিলের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ আসনে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিল ৬১ হাজার ৬৬৭ ভোট। আর উপনির্বাচনে গতকাল মঙ্গলবারের ফলাফলে সেই ভোট কমে হয়েছে ২০ হাজার ২৫৪। ভোট ৩৩.৬৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৩.০৭ শতাংশ। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা আসনে বিজেপি যেখানে ৮২ হাজার ১৪ ভোট পেয়েছিল। এবার উপনির্বাচনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪২৩। ভোট ৪১.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৯.৯৫ শতাংশে।
এভাবে মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাজানো বাগান তৃণমূল-ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর রাজ্যবাসী মনে করতে শুরু করেছে, তবে কি বিজেপির রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গেল? পশ্চিমবঙ্গ থেকেই কি বিজেপির বিদায়ের সংকেত দেওয়া হলো?
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা ভারতে একই চিত্র। বিজেপির সাজানো বাগান তছনছ করে দিতে শুরু করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল।
গত ৩০ অক্টোবর ভারতে ১৩ রাজ্যে লোকসভার তিন আসন ও বিধানসভার ২৫ আসনে উপনির্বাচন হয়। লোকসভার তিন আসনের মধ্যে হিমাচলের মান্ডিতে কংগ্রেস, মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়ায় বিজেপি এবং দাদরা ও নগর হাভেলিতে শিবসেনা জয়ী হয়েছে।
অন্যদিকে বিধানসভার ২৫ আসনের মধ্যে বিজেপি ৯ আসনে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া কংগ্রেস ৮, তৃণমূল ৪ এবং বাকি ৪টিতে জিতেছে অন্য রাজনৈতিক দল। এ ফলাফলের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলছে, বিজেপির সময় ফুরিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে বিজেপিবিরোধী ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো আরও শক্তিশালী হবে।
উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজেপি শিবিরে প্রচণ্ড উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে বিজেপিবিরোধী তৃণমূলের পালে হাওয়া লেগেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, সেই হাওয়ায় সত্যিই এবার বিজেপির বাগান তছনছ হয়ে যেতে পারে?