পরিদর্শন এসে রাজনৈতিক বিবেদ দূর করে অবিভাবকের ভূমিকা পালন করার নির্দেশ – ইউ এন ও

মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী \

২৬ শে মার্চ উপলক্ষে কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস অনার্স কলেজের মাঠ পরিদর্শন করেছে নির্বাহী কর্মকর্তা। স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে, বর্ণাঢ্য র‌্যালী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এর চিত্র প্রদর্শনী, কুচকাওয়াচ, বিভিন্ন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠানটি নান্দনিকভাবে ঢেলে সাজাঁতে পূর্ব প্রস্থুতিমূলক কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠ পরিদর্শন করেন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।

২০ মার্চ আসর নামাজ বাদ পরিদর্শনের কথা থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় সন্ধ্যার দিকে মাঠে উপস্থিত হন তিনি। সু-শৃঙ্খল ও আনন্দ মুখর পরিবেশ গড়ে তুলতে মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও সুধীজনদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন গ্যালারি করা হবে। যাতে করে মাঠে অনুষ্ঠিত চিত্র প্রদর্শনী! সকলে এক সঙ্গে উপভোগ করতে পারে।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান, ভাইস চেয়ারম্যান, সভাপতি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আ’লীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখা, মোঃ মোল্লা লিয়াকত আলী অধ্যক্ষ সরকারী মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ কলাপাড়া, মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মহিপুর প্রেসক্লাব প্রমূখ।
পদাধিকার বলে ওই কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, তাই মাঠ পরিদর্শনের পাশাপাশি কলেজের ভবন গুলো দেখভাল করেণ। কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষের নিকট থেকে অজানাকে জ্ঞাত হন তিনি। সর্বপরি অধ্যক্ষ মোঃ মোল্লা লিয়াকত আলীকে কলেজের অবক্ষয় রোধ করে উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে, রাজনৈতিক বিবেদ দূর করে- অভিভাবকের ভুমিকা পালন করার নির্দেশ দেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

অপর দিকে মাঠ পরিদর্শনের যথা সময়ে মাঠে উপস্থিত হন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান। গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হচ্ছে ২৬ শে মার্চ। বাঙ্গালী জাতীর অ¯িতত্বের একটি শব্দ। স্বাাধীন বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ। যার পিছনের ধারক এবং বাহক ছিলেন সর্বকালে সর্বশ্রেষ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এমনই এক ব্যাক্তিত্ববান পুরুষ ছিলেন। যার জন্য কিউমার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি-বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। বাংলার নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষের মুক্তির সনদ ছিলো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। আজ যেনো সোনা রুপে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই বঙ্গবন্ধুর তনায়া বাংলাদেশ আ’লীগের সভানেত্রী, গণতন্ত্রের মানষ কন্যা দেশরতœ জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।