
নির্ভুল বার্তা ডেস্ক :
পটুয়াখালীর মহিপুর আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মস্তফা কর্তৃক কলাপাড়া উপজেলার ইউসুফপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার কমিটি গঠনের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়, ম্যানেজিং কমিটির একাংশের একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে রেজিষ্টার মো: সিদ্দিকুর রহমান সভাপতির পদ শুন্য ঘোষণা করেন। ফলে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মাও: মো: হাবিবুর রহমান ২ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি সভা আহবান করেন।
অপরদিকে সভাপতির পদ শুন্য ঘোষণা করায় ওমর ফারুক আকন ১ অক্টোবর বাদী হয়ে মোকাম কলাপাড়া সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৯৮০/২৩। আদালত শিক্ষা বোর্ডের আদেশ কেন স্থাগিত করা হবে না এর কারণ জানতে চেয়ে দশ দিনের সময় নির্ধারণ পূর্বক ওইদিনই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাও: মো: হাবিবুর রহমান ও এর সাথে সংশ্লিষ্টদের কাছে নোটিশ প্রেরন করেন। আদালতের নোটিশ প্রাপ্ত হয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার পূর্বের আহবানকৃত ২ অক্টোবরের সভা স্থাগিত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ ম্যানেজিং কমিটির সকলকে এ বিষয় অবহিত করেন। আদালত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তা জেনে অজ্ঞাত কারণে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মস্তফা ২ অক্টোবর বিকেলে মাদ্রাসায় এসে ভারপ্রাপ্ত সুপারের অনুপস্থিতিতে তাকে না জানিয়ে বাজার থেকে রেজুলিউশন খাতা ক্রয় করে নিয়ে মো: বদরুল আলমকে সভাপতি নির্বাচিত করে ঘোষণা দেন এবং এর পরই অনেকেই সোস্যাল মিডিয়া ফেইজবুকে নতুন সভাপতির নাম উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন। যেটা আদালত অবমাননার শামিল বলে উল্লেখ করেন সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক আকন।
এ ব্যাপারে ইউসুফপুর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাও: মো: হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষা বোর্ড সভাপতির পদ শুন্য করায় আমি ২ অক্টোবর এ বিষয় একটি সভা আহবান করি। পরে ১ অক্টোবর আদালত কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলে আমি আহবানকৃত সভা স্থাগিত করে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ ম্যানেজিং কমিটির সকলকে এ বিষয় অবহিত করি, কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমার অনুপস্থিতিতে আমাকে না জানিয়ে সভাপতি নির্বাচিত করে ঘোষণা দিয়ে যান, বিষয়টি আমার জানার বাহিরে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ড পভাপতির পদ শুন্য করায় আমি সভাপতির পদ পূরণ করেছি, আমি যা করেছি তা নিয়ম মোতাবেকই করেছি।