কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
কুয়াকাটার ১৩২নং রসুলপুর (২) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র, উপ-বৃত্তি ও ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্ধকৃত টাকা আত্মসাতের পর এবার স্কুলের জমি অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বরিশাল থেকে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলেও ওই শিক্ষক কর্মস্থলে রয়েছেন বহাল তবিয়াতে, যেন দেখার কেউ নাই।
একাধীক দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত ওই শিক্ষকের খুটি জোর নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয় সুশীল সমাজের। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেখাযায়, রসুলপুর রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে বিগত ১৯৯১ খ্রিঃ ২৫০৯/৯১ নং দলিল মূলে ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এর বাবা নুর হোসেন মুন্সী। সেখানে কুয়াকাটা সহ উপকূলীয় এলাকায় সর্ব শেষ ভূমি জড়িপ বি,এস এ দেখাযায় ওই স্কুলের নামে ২০ শতাংশ জমির রেকর্ড হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ ‘দু’টি খতিয়ান দিয়ে ৩৩ শতাংশ জমি দান করলেও দাতা একটি খতিয়ানের জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেন এবং ৪৭৯নং খতিয়ান দিয়ে সাড়ে ষোল শতাংশ জমি স্কুলের নামে দান করেন’। ‘সেখানে মস্জিদ মাদ্রাসায় জমি দিয়ে ওই খতিয়ানে জমি থাকে ১৩ শতাংশ। তবে বি,এস জরিপে রেকর্ড হয় ২০ শতাংশ’। এলাকাবাসীর দাবী স্কুল প্রতিষ্ঠানটি দলিল মূলে ৩৩ শতাংশ জমির মালিক, তাহলে বি,এস জরিপ অনুযায়ী ২০ শতাংশ’ জমি রেকর্ড হলে বাকী ১৩ শতাংশ জমি উদ্ধার করা জরুরী।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরিপের সময় কর্তৃপক্ষ ২০ শতাংশ’ জমি রেকর্ড করে বাকী ১৩ শতাংশ জমি খাস খতিয়ানে রেখেগেছেন যেটা উদ্ধার করা দরকার।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার (অঃ দাঃ) মোঃ আবুল বশার বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি, এখন সার্ভেয়ার নিয়োগ করে জমির বুঝ নিতে হবে। তবে জরিপ কম হওয়ার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হবে।