কলাপাড়া উপজেলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে সরকারের দেয়া বই বিতরণের বিষয়ে কিছুই জানেন না স্থায়ী কমিটির সভাপতি ॥

মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী ॥

নিরব নিস্তব্দতার মাঝে কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর সংক্রমন কাটিয়ে যথাসময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারী ৪ কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে সরকারের দেয়া বিনা মূল্যের বই তুলে দিতে পেরে সরকারের সাফল্যতা ফুটে উঠেছে। কিন্তু সরকারের এ সাফল্যতা প্রচার বিমুখ রেখেছে সরকারী আমলারা এমন মন্তব্য করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান।

উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলমের কাছে মুঠোফোনে জানতে কতটি বিদ্যালয়ে এবং কতজন শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেছেন ? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে উল্লেখিত মন্তব্যের পাশা-পাশি তিনি আরো বলেন, কতটি বিদ্যালয়,কতজন শিক্ষার্থী বা বই বিতরণ করার বিষয় তাকে অবগত করা হয় নি, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রীতিমতো শুধু শিক্ষা দপ্তরই নয়, উপজেলা পরিষদের ১৭টি দপ্তরেই অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে।

১ লাখ ৭৫ হাজার জনগনের মূল্যবান ভোট পেয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েও সরকারের দেয়া বিভিন্ন উপকরণ ও ত্রান সামগ্রী বিতরণ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছেনা তাকে। উপজেলা পরিষদ মেনুয়্যল অনুপাতে ৯টি দপ্তরের স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পদাধিকার বলে নিযুক্ত থাকলেও দাপ্তরিক বা স্বাক্ষরিক কোন পাওয়ার না থাকার কারনে, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লীষ্ট দাপ্তরিক কর্মকর্তারা স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে কোন প্রকার মূল্যায়ন করছেনা। দপ্তর গুলির দু মাস পর পর ৭ সদস্য বিশিষ্ট স্থায়ী কমিটি নিয়ে আলোচোনা সভা করার কথা এবং আলোচ্য বিষয়গুলি এডিসি রেবিনু বরাবরে লিখিত বক্তব্যে তা প্রেরণ করা। এমন সিদ্ধান্তের কথা মেনুয়্যল থাকলেও অদ্যবদি কোন দপ্তরের  বিধি-বিধান অনুযায়ী কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছেনা, অনিয়মের রাজ্যে পরিণত করে চলছে সরকারী আমলারা। যেন দেখার কেউ নেই।

জেলা পর্যায় সংশ্লীষ্ট কর্তাব্যাক্তিরে কাছে বিষয়টি অবগত করার পরেও কোন সুফল না হলেও নির্বাহী কর্মকর্তার চোখের শুল হয়ে আছেন। এমন রক্তচক্ষুর দৃষ্টিতে দেখছেন যে, উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকা অবস্থায় তিনি ও উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা কোন কিছু না জানিয়ে নিরব নিস্তব্ধতার মধ্য দিয়ে বই বিতরণ করেছে। অথচ সরকারের এ সাফল্য উপজেলা পর্যায় জনসাধারণের মাঝে প্রচার বিমুখ রেখেছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার নিজের বাসা সংলগ্ন জামে-মসজিদ কেন্দ্রীক গণশিক্ষা পাঠ্য বিতরণের ১০ মিনিট পূর্বে মসজিদের ইমাম মোঃ হালিম সাহেব তাকে মুঠো ফোনে আমন্ত্রন জানান এবং ওই মসজিদের মুসুল্লী বিধায় সেখানে তিনি উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেণ। শিক্ষার্থীদের মাঝে ১ লা জানুয়ারী সরকারের দেয়া বিনা মূল্যের বই বিতরণের বিষয়টি কলাপাড়া পৌরসভার শান্তিবাগ জামে-মসজিদের ইমামের কাছে অবগত হয়েছেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লীষ্ট দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের এমন হীন-মানষিকতা প্রকাশের ঘটনায় তার নিজের বিবেককে চড়ম ভাবে আহত করেছে।