নির্ভুল বার্তা ডেক্সঃ
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন প্রকার পতিত জমি বা অনাবাদী জমি রাখা যাবেনা, চাষাবাদের আওতায় নিতে হবে। আজ ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে কলাপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে ধারণ করে, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সমুদ্রপাড়ে প্রায় ৫ একর ভূমি পতিত অবস্থায় দেখতে পায় যুগ-যুগান্তর।
পতিত ওই জমি আবাদে রুপান্তরিত করা, কিছু বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পর্যটক আকর্ষনী কিছু কর্মকান্ড ণির্মানের লক্ষ্যে, যাওয়া হয় সংশ্লীষ্ট ভূমি অফিস মহিপুর। অফিসার মোঃ আজিজের সাথে ৫ বছরের চুক্তিতে এককালীন ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব দিয়ে লিজ নেন তিনি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ২০১৯ইং করোনা নামক ভাইরাসে সারা বিশ্ব আক্রমন করে স্থবির করে দেয়। তৎকালীন সকল প্রকার কর্মকান্ড বন্ধ থাকলেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ফুল, ফল গাছের নার্সারী ও একাধীক বীজ রোপনের মধ্য দিয়ে আবাদ করা শুরু হয়। পাশা-পাশি পর্যটনকেন্দ্র উন্নয়নের স্বার্থে পর্যটক আকর্ষনের জন্য নান্দনিক ভাবে বাস ও সুপারি কাঠ দিয়ে ৭ লাখ টাকা ব্যায়ে অত্যাধূনিক একটি ঘর ণির্মান করা হয়, ঘরটির নাম দেয়া হয় মিতালী নীড়। যে খানে শুধুমাত্র শ্রমিকরাই রাত্রি যাপন করতো, পরিচালনা করতো সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী। যা দেখতে ভীর করতো প্রতিনিয়ত আগত পর্যটকরা। বিনা টাকায় বহু পর্যটকরা বাতরুম ও গোসল করার সুবিধা নিতেন।
শুধু মাত্র বাস ও সুপারি কাঠের র্ণিমিত সৌন্দর্যমন্ডিত ঘরটি ও বাতরুম এবং নার্সারীর জমিটুকু বাসের এরিয়া দিয়ে সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। বিগত দিনে বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল ও পেপে গাছের নার্সারী করা হয়েছিলো, শশা, লাউ, কড়লা, বেগুন হয়েছিলো প্রচুর। যা ভূমি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রাও খেয়ে ছিলো চাহিদা মতো। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, বুলবুল ও ইয়াসের তান্ডবলীলায় বার বার ধ্বংস হয় ওই সকল নার্সারী।
সৌন্দর্য মন্ডিত ঘরটির আংশিক ক্ষতিটুকু কাঠ দিয়ে সাজানোর কাজ চলছিলো এবং এরিয়ার ভিতরে নার্সারীর শ্রমিকরা কিছু তরমুজ চাষ করেছে। সবে মাত্র গাছগুলি ১০/২০ পাতা ছেড়ে বাইতে শুরু করেছে। গৃহপালিত পশু থেকে রক্ষার্থে চারো দিকে বাস কাঠ দিয়ে এরিয়া নির্ধারনের মাধ্যমে জাল দিয়ে আটকে দেয়া হয়েছিলো।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গত ২৪ ডিসেম্বর কোন প্রকার নোটিশ বা মুঠো ফোনে কোন কিছু না বলে পর্যটক আকর্ষীক ব্যায় বহুল ঘরটি ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়া হয়। এতে ওই ঘরে থাকা ১টি এল ইডি টিভি, গ্যাসের চুলা, গ্যাস স্যালেন্ডার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, প্লেট-গ্লাসসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এক কথায় অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। কোন কারণ না দর্শিয়ে হঠাৎ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হন তিনি।
মোঃ শফিকুল আলম বাবুল খান আরো বলেন, সেখান থেকে তার কোন আয় নেই বরং ঘর ও শ্রমিকের পেছনে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। অপর দিকে পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হোসেন ওই জমি পৌর সভার বলে দাবী করেণ। কোন কিছু করতে হলে যেন, তার সাথে সমন্বয় করে করা হয়। সেখানে আলোচনার একপর্যায় পর্যটন উন্নয়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদী লিজ পেলে শিশুবিনোদনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ‘শেখ হাসিনা শিশু বিনোদন কেন্দ্র’ করার পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছিলেন। এতোদিন ঘরটির সংস্কার কাজ চলছিলো তখন ভূমি কর্তৃপক্ষের ছিলো নিরব ভূমিকা। সংস্কার কাজ শেষের পথে আসতেই ভূমি কর্তৃপক্ষ কোন কিছু অবগত না করে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ কর্তৃপক্ষের এহেন ক্ষতি সাধিত কর্মকান্ডে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন তিনি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, বিষয়টি তাঁর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে স্বঠিক তদন্ত সাপেক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতি পূরণ ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ১০জন যুবকের কর্মসংস্থান ফিরিয়ে দেয়ার জোরদাবী জানান।
“বঙ্গোপসাগর নার্সারী ও মিতালী নীড়”র পরিচালক মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি- মহিপুর প্রেসকাব’র কাছে জানতে চাইলে তিনি লিখিত বক্তব্যে ভূমিকায় বলেন, প্রথম শ্রেনী পেশার চাকরী বা চাকরীজিবীদের আমরা সরকারী আমলা বলে চিনি বা জানি। ওই সরকারী আমলাদের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাহী পদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তাব্যাক্তিরা। তাদের অনেকাংশে মানবাধিকার লংঘন, সাধারণ জনগণদের হয়রানী, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্ম কান্ডের বরাদ্ব থেকে কমিশননেয়াসহ নানাবিধ অপরাধ করেও আইনের ফাক-ফোকর থেকে বেড়িয়ে আসে, গণমাধ্যমের লেখুনিতে অতিরিক্ত চাপপ্রোয়োগের ক্ষেত্রে অন্যত্রবদলী, চাকুরীচ্যুৎ হয় না। নাই বুঝি শাস্তির বিধান! এমনটাই সমাজে পরিচিত।
বিশ্লেষনে বলেন:- কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) কলাপাড়া, এ দু’জন মানবাধিকার লংঘনকারী অপরাধের অপরাধী। পর পর দুটি নিন্দনীয় ঘটনার চরিত্র নিয়ে বিকশিত হয়েছেন উপজেলার ওই দুই কর্মকর্তা। করোনাকালীন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক কুয়াকাটাস্ত সাংবাদিক ইলিয়াস শেখ’র হাত থেকে বরিশালের আঞ্চলিক পত্রিকা ‘দৈনিক আজকের তালাশ পত্রিকার’ কুয়াকাটা প্রতিনিধি’র কার্ড ছিনিয়ে নেয় এবং ৪জন ট্যুরিস্ট পুলিশ দুহাত দু দিকে টেনে ধরে আর ওই পাষান্ড নির্বাহী কর্মকর্তা ওর গায়ের জোরে ইলিয়াসকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে যে, নির্মমতা সৃষ্টি করেছে, তাতে সমাজ লজ্জিৎ, তুবুও ওদের চোখে লজ্জা নেই। কারণ, ওর একটু উপরের কর্মকর্তা দেখলো, নিজে যতোটা বড়ধরণের হারামী, তার চেয়ে ও, খুবই ছোট ধরনের।
আর এই কর্তাব্যাক্তি অধিকাংশ সময় উপজেলার বহুস্থানে মোবাইল কোর্ট’র ম্যাজিষ্ট্রেট দ্রুতট্র্যাইবুনালে বিভিন্ন মেয়াদে জেলহাযত ও নগদ অর্থ জড়িমানা করত জগৎবন্ধু মন্ডল সহকারী কমিশনার ( ভূমি) কলাপাড়া, পটুয়াখালী। ভুলে-ভালে ভরা ওই কর্তাব্যাক্তি জগৎবন্ধু মন্ডল ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা রাতে কুয়াকাটাস্থ পর্যটন আকর্ষীক বাস ও সুপারী কাঠের নির্মিত দৃষ্টিনন্দন একটি ঘর। ঘরটির নাম মিতালী নীড়। ভাড়া দেওয়া হয়না। শুধুমাত্র দেখার সাঁজ, আর বঙ্গোপসাগর নার্সারীর শ্রমিকরা সেখানে পরিচর্জা করেণ। ওই পর্যটক আকর্ষীক সৌন্দর্য মন্ডিত অত্যাধূনিক ঘরটি বিনা কারনে, বিনা নোটিশে, ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মানবাধিকার লংঘন ও জন-সাধারণের প্রতি চড়ম অবিচার করেও সরকারের পদমর্যাদায় বহাল তবিয়েত। ক্ষমতার আসনে যারা অধিষ্ঠিত, তাদের ক্ষমতায়ন নাকি ওরা, তাই ওরা মন খুশিতে যে যার মতো রাজ্য ষোশনের মহোৎসব চালাচ্ছে।
উত্তোরণ :-
এ থেকে মুক্তি বা উত্তোরণ পেতে হলে
প্রয়োজন – বিশ্বনবীর রাজ্য শাসনের দৃষ্টিভঙ্গি।
এ ছাড়া কোন উত্তোরণ নেই,
কারণ! গাছের গোড়ায় পোকা।
যেভাবে বুঝবেন অতিসহজে
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ব্যাবহার দেখুন,
সাংবাদিক রোজিনার সাথে।
চাকরী এখন বানিজ্যেক :-
রাতের আধাঁরে নোটিশ বিহীন ঘর ভাংচুরের অপরাধে জগৎবন্ধু মন্ডল সহকারী কমিশনার (ভূমি) কলাপাড়ার সরকারী বিধিমালায় শাস্তির বিধান থাকলেও শাস্তি দেয়ার নেই বিচারক। লেখা-লেখির মাধ্যমে ঘটনা কেন্দ্রীক উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদন্ত ও ব্যাবস্থা নিতে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করলে, বিচারীক ফলাফলে অপরাধ পরিহার বা দমন নয়- শাস্তির বদলে (বানিজ্যিক রুপে কালো অধ্যায় সৃষ্টি) বদলীতে রুপান্তরিত করে।
সাংবাদিক মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী উপসংহারে বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছরে গণমাধ্যমের তথ্যপত্য ও সত্য উদঘাটনের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে অভিজ্ঞতার আলোয়ে স্পষ্ট দেখেছি- এই আমাদের দেশ আর অন্যায় আমাদের কর্ম, ধর্ম নেই বাস্তব সভ্যতার।
এব্যাপারে সংশ্লীষ্ট মহিপুর ভূমি অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাংচুর করতে হলে অবশ্যই স্থাপনা যারই হোক তাকে অবহিত করতে হবে এবং স্থাপনা সড়িয়ে নেয়ার জন্য সময় দিতে হবে। এসিল্যান্ড স্যারের কাছে একবার বলছিলেন তখন ফিরেও এসে ছিলেন। পরে আবার তিনি উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়ে ডাকলে মহিপুর ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল’র সাথে ঘটনাস্থলে যায়।
এ ঘটনায় জগৎবন্ধু মন্ডল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কলাপাড়া, পটুয়াখালীর কাছে জানতে একাধীকবার ০১৭৩৩৩৩৪১৫৬ নম্বরে ফোন করলে ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য অস্পষ্ট।
এদিকে কুয়াকাটা সী-বীচে শত-শত দোকানীরা রয়েছে এর মধ্যে কারো ডিসি আর বা লিজ নেই, দোকান প্রতি ৫শত কোন কোন দোকানীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে তুলে নিচ্ছেন, ভূমি অফিসের স্থানীয় কেয়ার টেকার আব্দুস ছত্তার মিয়া। ইতো পূর্বে বাগানের বহু প্রজাতির ফলজগাছ এর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য যেমন নারিকেল ও তাল বিক্রি করে রাজস্ব ফাকি দিয়ে কেয়ার টেকার আব্দুস ছত্তার ও কর্তাব্যাক্তিরা নিজেদের পকেট ভারী করছে। যুগ যুগ ধরে কুয়াকাটায় এ নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, যেন দেখার কেউ নেই।