
বিএনপির এক কর্মীকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
গতকালের সংঘর্ষের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৪৯ নেতা–কর্মীকে আটক করে। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সংঘর্ষের সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হন। এদিকে বিএনপির দাবি, তাদের ৩৫ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্র বলছে, মামলায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব আবুল হাশেম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী, এম এ আজিজ, নাজিবুর রহমান, সাইফুল আলম, কাজী বেলাল, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।
এ নিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, যান চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। বিএনপির নেতা–কর্মীরাই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন।
‘পুলিশের অত্যুৎসাহী কিছু কর্মকর্তার আচরণ ছিল মারমুখী’
গতকাল গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। বিএনপির ‘শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে’ পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। দলটির নেতাদের ভাষ্য, হামলার সময় পুলিশের অত্যুৎসাহী কিছু কর্মকর্তার আচরণ ছিল মারমুখী।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারা (পুলিশ) অনেকটা ইচ্ছা করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার পুলিশকে দিয়ে এই দমন–পীড়ন চালাচ্ছে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের এই ফ্যাসিবাদী আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রোজি কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের নাম রয়েছে।