
তৈমুরের গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘আমি বিষয়টি ঠিক জানি না। আমি শুধু তিন-চার দিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছিলাম। আমি এই নির্বাচনের আগে আরও দুটি নির্বাচন করেছি। আমার তরফ থেকে এ ধরনের কোনো কিছু ছিল না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শহরের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য কোনো মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের কাউকে ধরে থাকলে তারা সঠিক কাজই করেছে। এর বাইরে আমি জানি না কাকে ধরেছে, আমি আমার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।’
আইভী বলেন, ‘সন্ত্রাসী যে কারও সঙ্গে থাকতে পারে। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, জাতও নেই। শহরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আছেই। যারা কিশোর গ্যাংয়ের লিডার, মাদক বিক্রেতা ও হোন্ডা বাহিনী থেকে শুরু করে এই শহরে বহু কিছু আছে; তাদের ধরা হোক। আমার চাওয়া, শহরের সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ যাতে ঠিক থাকে, কেউ কাউকে যাতে ভয়ভীতি দেখাতে না পারে, সুন্দরভাবে যেন নির্বাচনটা হয়, কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়। সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, সে কোনো দলের বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। সে নিজের স্বার্থে কাজ করে।’
নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘আমিও নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগ পেয়েছি। এটাও বন্ধ করতে হবে প্রশাসনকে। সারা দেশের মানুষ জানে, আমি গরিব মানুষ। আমি অর্থনেতিকভাবে সাধারণ জীবন যাপন করি। এটা আমার শত্রুও জানে, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমুর আলম খন্দকার কাকাও জানে। আমি কখনো টাকার রাজনীতি করিনি, করবও না। সুতরাং টাকা কোত্থেকে ছড়াচ্ছে, কারা ছড়াচ্ছে, এটা আমারও প্রশাসনের কাছে জিজ্ঞাসা।’
১৬ তারিখ কেমন নির্বাচন হবে জানতে চাইল আইভী বলেন, ‘১৬ জানুয়ারি অবশ্যই সুন্দর নির্বাচন হবে। ২০১১ সালে খুব সুন্দর নির্বাচন হয়েছিল। ওই সময় যদি সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রশাসন হেল্প না করত, তাহলে আমি মেয়র হতে পারতাম না। ২০১৬ সালেও বিএনপিদলীয় প্রার্থী সাখাওয়াতের সঙ্গে নির্বাচন করেছি। সে সময় অসম্ভব সুন্দর পরিবেশে মানুষ ভোট দিয়েছে। ১৬ তারিখেও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে। প্রশাসনের কাছে এই দাবি, মানুষ ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে যেন সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে। হাতি তো বনেই থাকে, হাতি তো শহরে থাকে না। বনের হাতি বনেই যাবে, নৌকা মার্কা জিতে যাবে।’