
আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে সচরাচর চোখে পড়ে না। তবে শহরের ফুলের বাগানে এটি দেখা যায়। নব্বইয়ের দশকের দুরন্ত ছেলেবেলায় এই ফুলের সঙ্গে পরিচয় ঢাকার মিরপুর–১১তে। তখন ঘুড়ি ও নাটাই নিয়ে ছাদে সময় কাটত বেশি। কাক, চড়ুই ও কাঁঠালগাছের নগর নিসর্গের দিকে ঝোঁক থাকলেও সময় দেওয়া হতো কম। আমাদের ভাড়া বাসার বাড়ির সামনে দেয়ালঘেরা দুটি খোলা অংশ ছিল। এক অংশে ফুলের বাগান ছিল। সেই বাগানের কয়েকটি প্রজাতি আমাকে মুগ্ধ করেছিল। একটি গাছের পাতার ওপরের অংশ সবুজ এবং নিচের অংশ লাল। তাকে আমরা লালপাতা নামেই ডাকতাম। আতা-পাতা আনা খেলার সময়, সে গাছটির পাতার সামান্য অংশ ছেঁড়া হতো। একটি পাতায় দুটো রং দেখা তখন অনেক বিস্ময়কর লাগত! সেই বাগানে ফুটত সিঁদুর রঙের এক ফুল। ফুলগাছটির পাতা ছিল ঢ্যাঁড়সগাছের মতো। আমাদের বাড়িওয়ালার মেয়ে নাজমা কাজী (তুহিন) আমাকে তখন এ ফুলের নাম বলেছিল দুপপাহাড়ি। তখন মনে হতো সে পাহাড় থেকে নগরে এসেছে। মুগ্ধ হয়ে এ ফুল আমি প্রতিদিন ক্ষণিক সময় ধরে দেখতাম। তবে সেই বাগান এখন নেই, বহুতল ভবন হয়েছে সেখানে। পুরোনো সেই স্মৃতিকে সম্প্রতি মনে করিয়ে দিলেন প্রথম আলোর তরুণ সাংবাদিক মোছাব্বের হোসেন নাটোরের গ্রামীণ বন থেকে দুপুরমণির ছবি তুলে পাঠিয়ে।
দুপুরমণির আদি আবাস দক্ষিণ এশিয়া। ভারতের পাঞ্জাব, বিহার, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাডু, ওডিশায় এদের দেখা যায়। তা ছাড়া বন্য পরিবেশে নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে জন্মে। সুন্দর বর্ণের জন্য একে ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, হাইতি, কিউবা, ডমিনিকা, বেলিজ, ফিজি, কলম্বিয়া, চীন ও জাপানে নিয়ে লাগানো হয়েছে।
দুপুরমণির বৈজ্ঞানিক নাম Pentapetes phoenicea। পরিবার মালভেসি। ইংরেজি নাম মিড-ডে ফ্লাওয়ার।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।