
সন্ধ্যা সাতটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু দলটি আগেই জানিয়েছে, তারা সংলাপে অংশ নেবে না। ৪ জানুয়ারি রাজধানীর পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছিলেন, জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়া তাঁরা সংগত মনে করেন না।
এদিকে সাম্যবাদী দল সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করাই শ্রেয় বলে মত দিয়েছে দলটি।
সাম্যবাদী দল বলেছে, রাষ্ট্রপতি নিজেই জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। এই অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে একটি আইন করার প্রস্তাব দিয়েছেন দলটির নেতারা।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডাক পেল আরও নয়টি দল
আরও নয়টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির দপ্তর। এর মধ্যে আজ বুধবার সংলাপে অংশ নেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার গণফ্রন্ট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (এলডিপি) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরপর সংলাপ হবে ৯ জানুয়ারি। ওই দিন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) জন্য সংলাপের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি (জেপি) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সংলাপ হবে ১০ জানুয়ারি। ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) সংলাপে যাবে ১১ জানুয়ারি।