1. admin@nirvulbarta.com : akas :
  2. mdjahidkuakata@gmail.com : jahid :
  3. nirvulbarta@gmail.com : rabbi :
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তিঃ-
প্রতিটি জেলা উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। যোগাযোগঃ- ০১৭১২৭৪৫৬৭৪
শিরোনামঃ
শোকের মাস আগস্ট শুরু সংক্রমণে মানুষের যাত্রা ৭–১৪ আগস্ট এক কোটি টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহিপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এম এ খায়ের মোল্লা গ্রুপের বেকু মেশিন দিয়ে ফসলী জমি কর্তন ॥ মিন্টুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ‘কবি পারভীন আমিন’ অনিশ্চিত যাত্রা শিক্ষার্থীদের – বাদ সাধছে করোনা সাকিবের কী হবে মৎষ্য বন্দর আলিপুরে মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ যেদিন তালাক সেদিন বিয়ে- হতাশার বানী নিয়ে পলাশের জীবন যুদ্ধ ॥ বাজেট কাল্পনিক ছাড়া কিছুই নয় : বিএনপি চায়ের দাম অর্ধেক নেবেন দোকানি – বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাকাতুয়ার শেখানো বুলির মতো-তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পুরুষ-সমাচার হিমশিম খাচ্ছে উন্নত বিশ্বও সাইবার দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে করোনা ভাইরাস” তাজমহল মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল এখন ঢাকায় মেট্রোরেলের দ্বিতীয় ট্রেন সেট কলাপাড়ায় ঘূর্নিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে ইটের ভাটার বেরি বাঁধ ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে থানায় মিথ্যা মামলা ॥ রাষ্ট্রের কাছে জনগণের আমানত – সাক্ষাৎকারে : মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ “মা” “এহকাল” আমলাতন্ত্রের কুট কৌশল তরুণীকে যৌন নির্যাতন, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার-৬ অনলাইন ব্যবসার সর্বাধিক সুবিধা কাজে লাগাতে, ডাক অধিদপ্তরকে: প্রধানমন্ত্রী জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্থ্য উপকূলীয় এলাকা ভারতে যৌন নির্যাতনে ঢাকার যুবক আটক অশ্বিন ভাঙবেন মুরালির রেকর্ড বারবার নয়, বিয়ে একবারই করব মা’ বলছে– কবিতাটি ভালো লাগলে পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন— বাংলাদেশই সেরা ওয়ানডে দল আহমদ শফীকে হত্যার ‍অভিযোগের মামলায় এক আসামি গ্রেপ্তার সামান্থার সাধ প্রেম করিতে বন্দুকধারীর গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রে নিহত ৮ আশ্রয়কেন্দ্রে ফুটফুটে ছেলেসন্তানের জন্ম ইয়াসের আঘাতে লন্ডভন্ড ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল “আমার দেশ” একান্ত না বলা কথা– সত্য” স্বার্থন্বেসী “বন্যার বেদনা” খুলনায় রাতের জোয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা,নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে ১৮টি স্থানে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে কুয়াকাটা সহ উপকূলীয় এলাকার শত শত পরিবার পানিবন্দি মহিপুরে জল দস্যু নাসির বাহীনি কর্তৃক দিন দুপুরে কুপিয়ে দুজনকে গুরুতর যখম করার অভিযোগ ॥ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটা বন্ধ চেয়ে নোটিশ দুদকের দুর্নীতি রোধে সাত সদস্যের কমিটি প্রচ্ছন্ন বার্তা? বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে ভবন বানিয়ে ফেলেছে নকশা ছাড়াই এফবিসিসিআই হারুন ইজাহার ‘যুব হেফাজত’ গঠন করতে চেয়েছিলেন অনুমোদনহীন বাল্কহেড অবাধে চলছে,পদ্মায় ঘটছে দুর্ঘটনা হেফাজত থেকে পদত্যাগ করা মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী গ্রেপ্তার খালেদা জিয়া আগের চেয়ে ভালো আছেন, অক্সিজেন দিতে হচ্ছে: ফখরুল ডায়রিয়া, কলেরা, না অন্য কিছু মামুনুলকে ফের ৫ দিন রিমান্ডে পেল পুলিশ দুই দশকে ২৩ বার সুন্দরবনে আগুন দিনাজপুরে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুর রহমান মুজিব বন্দী হলেন যে রাতে উৎসাহ বাড়াতে কার্ডে লেনদেনে বিশেষ প্রণোদনা দরকার ২৬ বার তাগাদা আমানতের টাকা ফেরত পেতে দুই কোটি টিকা আনা সরকারের লক্ষ্য কুয়াকাটায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পার্শ্ববর্তী ভূমি হুমকির মুখে।। মহিপুর ১ ব্যাগ টাকাসহ ১ চোর আটক। কুয়াকাটায় অপহ্নত কিশোরীকে উদ্ধার॥ থানায় মামলা কুয়াকাটায় ইউ এন ও কর্তৃক গণমাধ্যম কর্মীকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় ॥ মহিপুরে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ১২ ॥ গুরুতর-২ ॥ কুয়াকাটা পৌরসভার তুলাতলী ২০ শয্যা বশিষ্টি হাসপাতালের সাথে সড়ক যোগাযোগে জনর্দূভোগ ॥ পটুয়াখালীর মহিপুরে চায়ের দোকান লুটের মামলা শতভাগ মিথ্যা প্রমাণিত ॥ হয়রানীর স্বীকার ৫ আসামী ॥ কলাপাড়ায় উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকদের মারধর আহত-৮, সুষ্ঠ ভোট গ্রহণ নিয়ে শংকায় ভোটাররা ॥ ভাষা আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণে প্রকাশ পেয়েছিল একুশের পটভূমি: নৌকার ভরাডুবির শংকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের মারধর আহত-১। নারী সমর্থকদের ইজ্জৎ লুটে নেয়ার হুমকী ॥ কুয়াকাটায় কাউন্সিলর কর্তৃক ভূমি জোর-যবর দখলের অভিযোগ ॥ কুয়াকাটার মহিপুরে বিড পুলিশিং ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। মহিপুরে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চাঁদাবাজী মামলা ॥ নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী মহিপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ শোয়াইব খান ॥ ছবির ফ্রেমে কুয়াকাটায় ৬ গণধর্ষণে অভিযুক্ত ও ১৭টি বিভিন্ন মামলার আসামী নাসিরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৮ ॥ “যদি হয়ে যায়” কেমন আছেন ? কুয়াকাটায় জলদস্যু জোংলা শাহালম বাহিনী কর্তৃক অপহরণকৃত জেলে ও ট্রলার উদ্ধার হলেও উদ্ধার হয়নি মালামাল ॥ কলাপাড়ায় রেকর্ডীয় ভূমি মালিকের দখলীয় ভূমিতে – ভূমিহীনদের বসতঘর ণির্মানের অনুমতি দিয়ে হয়রানী অব্যহত ॥ কলাপাড়ায় কাউন্সিলর পদে ব্যবসায়ী নেতা সাংবাদিক বিপুর মনোনয়ন দাখিল মহিপুরে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নবাসীর প্রত্যাশা অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন সিকদার হোক- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত নৌকা মার্কার র্প্রাথী ॥ কুয়াকাটায় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বনভোজন ও কেন্দ্রীয় নের্তৃবৃন্দদের সংবর্ধনা ॥ ১২ হাজার ৬শ হত দরিদ্র খাদ্রসামগ্রী ত্রান পাচ্ছে ১৫শ’ বাকী সকলের পাওয়ার আবেদন ॥ বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয়-সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন তুষার হালদার কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কার পরাজয়ে- প্রকৃতি আহত ॥ মহিপুর থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি কর্তৃক চাঁদাবাজীসহ ভূমি জোরযবর দখলের তান্ডবে আহত-১ ॥ কলাপাড়া উপজেলা যুবলীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামালকে দল থেকে বহিস্কার ॥ কলাপাড়া আন্ধার মানিক নদীর মোহনায় জলদস্যু জোংলা শাহালম বাহিনী কর্তৃক ট্রলার ডাকাতি, অপহরণ-১ ॥ মহিপুরে ৯ গনধর্ষনের পর পলাতক বনদস্যু জোংলা শাহালম বাহিনী রয়েছে প্রশাসনের কড়া নজরদারীতে ॥ ক্লাস চলছে মাইনাস ৫১ ডিগ্রিতেও আমাদের একটাও মিটবে না?ভারতের সব চাহিদা মেটাব চিরতরে নির্যাতনকে কবর দিতে হবে: আইজিপি ইশরাকের বাসায় হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ নেতা-কর্মীদের দেশপ্রেম ও মানবিকতাবোধ বাড়বে ‘বঙ্গবন্ধুর লেখা বই পড়লে চাকরি, বেতন স্কেল ৫৬৫০০ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইএফআরসি সিনিয়র অফিসার নেবে বিপর্যয়ের শঙ্কা পাটপণ্য রপ্তানিতে দুই দিন ধরে তুষারঝড়ে আটকা হাজারো যানবাহন বিএনপি’ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখেও দেখে না : তথ্যমন্ত্রী ২০২২ সালে পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল : কাদের যৌন মিলনের পরে এই ৫টি কাজ করলে, বিপদে পড়তে পারেন! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া একনজরে ‘পদ্মা সেতু এদেশের মানুষের পৈতৃক সম্পত্তি, তবে বিএনপির নয়’ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঘারপাড়ায় ধানক্ষেত থেকে ২১ টি বোমা উদ্ধার যেভাবে এসেছিল মার্কিন পত্রিকায় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ হেফাজতে ইসলামের ছাতার নিচে স্বাধীনতাবিরোধীরা : হানিফ অগণতান্ত্রিক পন্থা খুঁজছে বিএনপি : কাদের শাহরুখের পাঠান ছবিতে সালমান ফোর্বসের ১০০ প্রভাবশালী তারকার তালিকায় বলিউডের জয়জয়কার ‘ যতদিন শারীরিক সক্ষমতা থাকবে, ততদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন শেখ হাসিনা ’ রাজনীতির হাটে মির্জা ফখরুল বিক্রি হওয়া রাজনীতিবিদ: হাছান মাহমুদ ৫ প্রস্তাব বিবেচনায় আছে আলেমদের : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস উদযাপনে ৭ নির্দেশনা ভাস্কর এবং মূর্তির বিষয় আলোকপাত কর্মকর্তা নেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সুখবর, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য দুটি বিসিএস আসছে ৬৪ পৌরসভার ভোট ৩০ জানুয়ারি আরব আমিরাতে অস্ত্র বিক্রি করতে সফল ট্রাম্প ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামুনুলের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি আদালত গাছে বেঁধে দপ্তরীকে পেটানো সেই যুবলীগ নেতা গ্রেফতার বর্ণচোরায় আওয়ামী লীগই পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল করোনায় সংগীতার সেলিম খানের মৃত্যু বদলে গেলো বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপের সূচি হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠের ফজিলত মনোনয়ন বিক্রিতে শিথিলতা আওয়ামী লীগের বলয় ভাঙছে এমপি-মন্ত্রী প্রভাবশালীদের পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে : ওবায়দুল কাদের অপরাধের তদন্ত শুরু জো বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে ‘যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ইসরাইল’ সততা ও নিষ্ঠার সাথে কমিটি করেছি মহিপুরে ৫ মন নিষিদ্ধ হাঙ্গর জব্দ মহিপুর থানার নবাগত ওসির সাথে সাংবাদিকদের  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  কুয়াকাটায় জমি জবর দখল করে ঘর নির্মাণ Very best Antivirus VPN Reviews M&A Due Diligence Software The very best VPN With regards to Android মহিপুরে রেনু পোনা নিধন, দুই জেলে আটক The key benefits of Cloud Data Sharing Rotating Events inside our Time How come Real Estate Agents Will be Your Best Option When acquiring or Selling a Home

সংক্রমণে মানুষের যাত্রা

  • আপডেট সময় রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১
  • ৪৭১ বার পঠিত

নির্ভুল বার্তা ডেস্কঃ

করোনাভাইরাস যেদিন থেকে তার ‘কার্যক্রম’ শুরু করেছে, সেদিন থেকে কোনো দিন ছুটি নেয়নি। তাই স্থানবিশেষে কেবল কমেছে-বেড়েছে, কিন্তু মোটেও ছেড়ে যায়নি। তবে আমরা তার উপস্থিতিতে এক লম্বা ঈদের ছুটি নিয়ে নিলাম। ছুটিটা এমন যে বাড়ি যাওয়া, পশু কেনাবেচার জন্য দীর্ঘ সাত দিন দেওয়া হলেও আর সব সামলে ফিরে আসার জন্য দেওয়া হলো মাত্র একটি দিন। মোবাইল অপারেটরদের তথ্য অনুযায়ী, এক কোটির বেশিসংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়েছিলেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এক দিনে এর তুলনায় অত্যন্ত কমসংখ্যক মানুষ কর্মস্থলে ফিরে আসতে পেরেছেন।

মানুষের ধর্মীয় উৎসব পালন জরুরি, উৎসবে শিকড়ের কাছে ফেরাও জরুরি, কিন্তু সবকিছুতে উপস্থিত থেকে আবার কর্মস্থলে নিরাপদে ফেরাটাও কম জরুরি নয়। করোনাভাইরাসের ছোবল ক্রমাগত বাড়তে থাকার মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষক ও বিজ্ঞজনেরা বিপুলসংখ্যক মানুষের দীর্ঘ যাত্রা ও স্থান পরিবর্তনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু এদিকে জীবন বাঁচানোর প্রয়োজন অগ্রাহ্য করে মানুষের স্থানান্তর ও ধর্মীয় উৎসব পালন ও এ-সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কর্মস্থল থেকে মানুষের বাড়ি পৌঁছানোর তুলনায় ফিরে আসার ব্যাপারে সরকার বাস্তব তেমন ব্যবস্থা নেয়নি।বিজ্ঞাপন

সত্যিকারভাবে, মানুষ উৎসবের কারণে কর্মস্থল থেকে বাড়ি পৌঁছে যাবেন আর পরবর্তী দুই সপ্তাহ বা পরিস্থিতি বিশেষে এরও বেশি সময় সেখানেই অবস্থান করবেন, এ রকম ধারণা করা অবান্তর। দীর্ঘ ছয়-সাত দিনব্যাপী যে মানুষ ঢাকা থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছেছেন, মাত্র এক দিনের মধ্যে রাস্তায় নেমে তাঁরা কোনো না কোনো পরিবহনব্যবস্থা গ্রহণ করে ফিরে আসবেন, এটাও বাস্তবে অসম্ভব। বস্তুত এতগুলো মানুষকে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ফিরতে হলে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা পাঁচ-ছয় গুণ হতে হতো। আর সে রকম সম্ভব হলেও দীর্ঘ যানজটে তাঁরা সরকারের বাঁধাধরা সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হতেন। তাই মূলত এ সিদ্ধান্ত ছিল বাস্তববিবর্জিত ও সিদ্ধান্তটির মাধ্যমে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ বরং না মানতে জনগণকে উৎসাহিত বা বাধ্য করা হয়েছে।বিজ্ঞাপন

আগের ঈদে দেখা গেছে, গণপরিবহনব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ। সাধারণ মানুষকে নানা রকমের ভোগান্তির মধ্যে ফেলে তখন কেবল ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের উৎসব উপলক্ষে বাড়ি যাওয়াকে সহজ করা হয়েছিল। তখন সাধারণ মানুষের অনেকে পরিবহনের সুবিধাবঞ্চিত হয়ে অনেক বেশি ভাড়ায় কারও ব্যক্তিগত গাড়িতে কিংবা অন্য নানান উপায়ে, এমনকি মাইলের পর মাইল হেঁটে বাড়ি যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ফলে তাঁরা অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। মাত্র আড়াই মাসের মাথায় সরকার তাঁদের আরেকভাবে একই রকমের ভোগান্তিতে পড়তে বাধ্য করল। ঈদ উৎসব স্বাভাবিক সময়ের মতো করে উদ্‌যাপনের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন ছিল, বস্তুত তা গ্রহণ করা হয়নি।

মূলত এখন স্বাভাবিক সময় নয়। তাই এখন প্রয়োজন ছিল সতর্কতার। প্রায় প্রতিদিন আগের রেকর্ড ছাপিয়ে সংক্রমণ যেখানে ছড়িয়ে পড়ছে, সেখানে একই দিনে বহু মানুষকে রাস্তায় বেরিয়ে আসতে হয়েছে, গাদাগাদি করে অপ্রতুল লঞ্চ ও বাসে চড়তে হয়েছে। মানুষের ভোগান্তির মাত্রা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। হাজার হাজার মানুষ শিশু, ভারী ব্যাগ, অন্যান্য জিনিসসহ পরিবহনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করেছে। এতে করে বহুসংখ্যক মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণসহ নানাবিধ অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়া অত্যন্ত স্বাভাবিক।

আমাদের মতো দেশে বিধিনিষেধ দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে না, এর অভিজ্ঞতা ইতিমধ্যেই সরকারের হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোভিড সম্পর্কে সতর্কতা তৈরি, যথাসম্ভব অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মানুষকে প্রস্তুত করা ও চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতি সরকারের মনোযোগের কেন্দ্র হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যাপকসংখ্যক মানুষ যখন ঢাকার বাইরে চলে গেল, তখন বলা বাহুল্য, সংক্রমণও হটস্পট রাজধানী থেকে বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়ায় দেশের বিভিন্ন কোণে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। পরিতাপের বিষয় হলো, রাজধানী থেকে দূরদূরান্তের শহরগুলোতে আইসিইউ না থাকা কিংবা থাকলেও আসনস্বল্পতা ভয়াবহ সমস্যা। বেশির ভাগ স্থানে উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। এ রকম অবস্থার মধ্যে যাঁরা রাজধানীর বাইরে চলে গেলেন, কিন্তু সরকারের নীতি ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থার কারণে ফিরতে পারলেন না, তাঁদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ তো হলোই, তাঁদের মাধ্যমে স্থানীয় যাঁরা সংক্রমিত হবেন, তাঁরাও বিপদগ্রস্ত হলেন।

অন্যদিকে মানুষকে খাদ্য সরবরাহ না করে যে কোনোমতেই বিধিনিষেধ সফল করা যাবে না, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং সেদিকে খেয়াল না দিয়ে এককভাবে কর্মস্থল থেকে দূরে সরিয়ে বিধিনিষেধের ব্যবস্থা মোটেও কারও জন্য সুফল বয়ে আনবে না।

যেখানে মানুষকে কোভিডকেন্দ্রিক সতর্কতার আওতায় আনা, আরও বেশি পরীক্ষার সুবিধা, আক্রান্তের ক্ষেত্রে চিকিৎসাসুবিধা, টিকা সংগ্রহ ও প্রদানের ব্যবস্থার বিষয়ে দেশব্যাপী ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে দ্রুত মনোনিবেশ করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই, সেখানে তাঁদের আরও বেশি বিপদে ফেলার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত ভালো ফল বয়ে আনবে না। মানুষের যেমন সচেতনতার মাধ্যমে সুস্থ থাকার প্রয়োজন আছে, তেমনি চিকিৎসা পাওয়ার অধিকারও আছে। বিধিনিষেধের মাধ্যমে তাঁদের বিভিন্ন স্থানে আটকে রাখলেই তাঁরা সচেতন হয়ে উঠবেন না। বরং চিকিৎসাসুবিধার অভাবে তাঁরা নানা রকমের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসবেন, যাতে তাঁদের ভোগান্তি আরও বাড়বে। অন্যদিকে সরকারকে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা যেমন নিশ্চিত করতে হয়, দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর ব্যবস্থাও করতে হয়। সরকার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা ভেবে যদি মানুষের স্থানান্তরে বিধিনিষেধ শিথিল করে, তবে তা সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিণতির দিকে আনা প্রয়োজন ছিল। কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমে উঠে আসা মানুষের ভোগান্তির কাহিনি, ছবি ও ভিডিও কেবল দুর্বল ও ভুল পরিকল্পনার প্রমাণ দেয়।বিজ্ঞাপন

বাস্তবে যে রকম কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়োজিত থাকতে দেখা যাচ্ছে, তাতে করে এটুকু নিশ্চিত বলা যায়, ভোগান্তি কাঁধে নিয়ে প্রচুর মানুষ ফিরলেও বাকিরা কর্মস্থল থেকে দূরে থাকার পরিকল্পনা বেছে নিতে বাধ্য হবেন। মোবাইল কোম্পানিগুলো সিম ট্র্যাক করে অধিকসংখ্যক মানুষের না ফেরার ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করেছে। ওদিকে ঈদের ছুটির কিছু আগে থেকেই দেশে ডেলটা ভেরিয়েন্টসহ আরও নতুন কিছু ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার কারণে জেলা শহরগুলোতে সংক্রমণের হার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত কয়েক দিনে অবস্থা আরও খারাপের দিকে গেছে। বাস্তবে রাজধানীতেই একটি আইসিইউ বেডের জন্য মানুষ হন্যে হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘোরে। কখনো হাসপাতালে কোভিড রোগীর একটি সিটও জোটে না। সে জায়গায় জেলা হাসপাতালগুলো কোভিডে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সরবরাহ করতে আরও বেশি ব্যর্থ হবে। বস্তুত সার্বিক কাঠামোগত উন্নয়নের আগে দেশব্যাপী চিকিৎসা কখনোই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

করোনাকাল প্রায় দেড় বছর হতে চললেও গ্রামে–গঞ্জে উপযুক্ত কোভিড চিকিৎসা দেওয়ার মতো দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি। তাই চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে না গিয়ে এত মানুষকে গ্রামে ও ছোট শহরে যেতে দিয়ে এই যে আটকে ফেলা হলো, এই আচরণ নেহাত অমানবিক। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের যেখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকার আছে, সেখানে পরিস্থিতির শিকার হিসেবে আগেই জনগণকে ভাগাভাগি করে ফেলা হলো। বর্তমান অবস্থায় কেউ উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ পেলে পেতেও পারেন, তবে কেউ যে পাবেন না, তা নিশ্চিত। বহু অসুস্থ মানুষ অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকায় আসার সংগতি রাখে না। অনেকের হয়তো সংগতি থাকলেও রোগের মাত্রা তাকে সেই সুযোগ দেবে না, সময়মতো একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা হবে কি না, এ ধরনের অনেক অনিশ্চয়তা সামনে এসে পড়বে।বিজ্ঞাপন

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার সংকুলান না করে মানুষের স্থানান্তর একদিকে যেমন সমস্যার সৃষ্টি করেছে, আরেক দিকে ৩০ জুলাই স্বাস্থ্যসেবা গবেষকদের পক্ষ থেকে স্থানান্তর ও জরুরি সেবা ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সরকারের তরফ থেকে দেশব্যাপী তৈরি পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণা এসেছে। পোশাক কারখানার মালিকদের উপর্যুপরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়, যা দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর পক্ষে অত্যন্ত ইতিবাচক। কিন্তু অন্যদিকে, দেশব্যাপী পরিবহন বন্ধের সময়ে যে শ্রমিকদের একটানা ঈদের ছুটি ও বিধিনিষেধ দিয়ে স্থানান্তর করা হয়েছিল, তঁারা কী উপায়ে কর্মস্থলে ফিরবেন, এ বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

পরিবহন আবার চালু না করে সিংহভাগ শ্রমিকের কর্মস্থল পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ায় যে বিধিনিষেধের নিয়ম ভেঙে মহাসড়কে দীর্ঘ পথ পায়ে চলা শ্রমিকদের ঢল নামবে, এ বিষয়ে সরকারের অবশ্যই ওয়াকিবহাল থাকা উচিত। কারখানার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে পয়লা আগস্ট থেকে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ৪ ও ৫ এপ্রিল ঠিক একই রকমের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার শ্রমিক শত শত কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কাজে যোগদানের উদ্দেশ্যে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক যে তাঁদের কারখানার দরজা পর্যন্ত পৌঁছে একইভাবে হেঁটে বাড়ি ফিরতেও হয়েছিল কারখানা আবারও বন্ধ হয়ে যাওয়ার তড়িৎ সিদ্ধান্তের কারণে। চলমান দুঃসহ সময়ে সরকার ও কর্তৃপক্ষের এমন অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের কেবল ভোগান্তিই বাড়ে। যে শ্রমিকদের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার জোগান আসে, তঁাদের পরিকল্পিত উপায়ে হয়রান করা ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার দিকে ঠেলে দেওয়ার নিষ্ঠুরতা সরকারের কাছে কাম্য নয়।

মানুষের স্থানান্তর সংক্রমণ যেমন বাড়িয়েছে, এসব অসুবিধা দেশে করোনাজনিত মৃত্যু আরও বাড়াবে, এতে সন্দেহ নেই। তাই কেবল করোনা নয়, অদূরদর্শী পরিকল্পনাও বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে।

নিউজটি ভালো লাগলে আপনার সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরো খবর
এই সাইটের কোন নিউজ/অডিও/ভিডিও কপি করা দন্ডনিয় অপরাধ।
x