
পরে দুই পক্ষই কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে বর মোহাম্মদ শাহজাহান (৩০), কনের বাবা জসিমউদ্দিন ফারুক (৫৬), মা রাশেদা বেগম (৪৭), মামা মোহাম্মদ বাবুল (৪৩), চাচা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (৫২), বরের স্বজন মানিক (২৮), রফিক (৩০) ও হুমায়ুন (১৯) আহত হন। আহত ব্যক্তিদের চন্দনাইশের দোহাজারী সরকারি হাসপাতালে ও স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কনের চাচা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিয়েতে ৩০০ জন বরযাত্রী খাওয়ানোর কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা (বরপক্ষ) অতিরিক্ত বরযাত্রী নিয়ে খেতে এসেছেন। এ সময় একটি খাবারের টেবিলে কিছু বরযাত্রী অতিরিক্ত মাংস এনে দিতে বললে কিছু সরবরাহকারী অতিরিক্ত মাংস এনে দেন। পরে ওই টেবিলের বরযাত্রীরা আবারও মাংস এনে দিতে বললে সরবরাহকারী অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে বরপক্ষের লোকজন কনেপক্ষকে গালিগালাজ করলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বরপক্ষ কনেপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করলে কনের বাবাসহ কয়েকজন আহত হন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরের বাবা কালু মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামান্য ভুল–বোঝাবুঝি থেকে মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের লোকজন সামান্য আহত হয়েছেন। আমরা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিধিদের মধ্যস্থতায় কনেকে ঘরে নিয়ে যাচ্ছি।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বরপক্ষের কয়েকজন লোক তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী বাড়তি মাংস না পেয়ে কনেপক্ষের ওপর হামলা চালায়। পরে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে কয়েকজন আহত হন। এ সময় বরপক্ষ কনেকে তুলে না নিয়ে চলে যান।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে রাত ৯টার দিকে সাতকানিয়ার ছদাহা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোসাদ হোসাইন চৌধুরী, কালিয়াইশ ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ আহমদ ও চন্দনাইশের সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহমদুর রহমানের নেতৃত্বে বরপক্ষকে ডেকে এনে কমিউনিটি সেন্টারে দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে নববধূকে বরপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।