কুয়াকাটা, (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,’ ১৭মার্চ ১৯২০ সালে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম গ্রহণ করেন। যাঁর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীনতা পেতনা। জাতি হিসেবে মর্যাদা পেতাম না। ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ তিঁনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী ২৫শে মার্চ যে গণহত্যা শুরু করে তার পরপরই তিঁনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আর এ মার্চ মাসেই আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আলো জ্বালাতে পেরেছি।’ আজ সোমবার ২১ মার্চ দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫’র ১৫ আগষ্ট ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিল জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুকে। স্বজন হারা, দেশ হারা হয়ে রিফুজি হয়ে থাকতে হয়েছিল বিদেশের মাটিতে। বেশ সময় লেগেছিল এ আঘাত সহ্য করতে। ৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকার গঠন করি। তখন দেশে ছিল বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, সামান্য কিছু লোক বিদ্যুৎ পায়। গ্রামে গ্রামে তো বিদ্যুৎ নাই। শুধু সরকারই না, বেসরকারী খাতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করে মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌছাঁবো। যেখানে মাত্র ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম, পাঁচ বছরের মধ্যেই আমরা ৪৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলাম। দুর্ভাগ্য আমরা ২০০১এ সরকারে আসতে পারিনি। ২০০৮এ নির্বাচনের পর যখন ২০০৯এ সরকার গঠন করি তখন দেখলাম ৪৩০০ থেকে কমে ৩২০০তে নেমে গেছে বিদ্যুৎ। মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যায় কিন্তু বাংলাদেশ সেখানে পিছিয়ে যাচ্ছিল। ২১টা বছর, এছাড়া ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যারা সরকারে ছিল এদেশকে এগিয়ে নেয়ার কোন আন্তরিকতাই তাদের ছিল না। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য এদেশের মানুষের।