
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ-
বরগুনার আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের নাম সম্বলিত নেইমপ্লেট সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পওয়া গেছে, একই কলেজের প্রভাষক ফেরদৌসি বেগম, মো. বশির আহমেদ, জলিলুর রহমান, প্রনব কুমার সরকার, জয়নাল আবেদীন, ফকরুল ইসলাম, বানী সরকার ও কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রদর্শক হোসাইন আলী কাজীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কার্যক্রম চলছে বলে জানান, কলেজ অধ্যক্ষ মো. ফোরকান মিয়া। সরেজমিনে দেখা যায়, আমতলী বকুল নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষর রুমের সামনে টানানো অধ্যক্ষর নাম সম্বলিত নেইম প্লেটটির যায়গাটি খালি রয়েছে।
অধ্যক্ষ মো. ফোরকান মিয়া অভিযোগ করেন, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক তিনি অধ্যক্ষর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু পরিচালনা পরিষদের সভাপতি গোলাম সরোয়ার টুকু, কোর্টের আদেশ অমান্য করে ফোরকান মিয়াকে অধ্যক্ষর পদ থেকে অবৈধ ভাবে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করে আমার নেমপ্লেট সরিয়ে ফেলছে এবং আমাকে কলেজে আসতে নিষেধ করছে।
উল্লেখ্য, আমতলীর ঐতিহ্যবাহী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষর পদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। অধ্যক্ষ আর ও বলেন যে, মাহামান্য সুপ্রিম কোর্টের ০৩ জানুয়ারী ২০২২ তারিখের আদেশে আমাকে ও এডহক কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে কলেজের বেতন-ভাতা সহ কলেজের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা ও গভর্ণিং বডি গঠন করার নির্দেশ প্রদান করেন কিন্তু এডহক কমিটির সভাপতি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে অধ্যক্ষকে ব্যতিরেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গভর্ণিং বডির নির্বাচন না করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভুল বুঝিয়ে অধ্যক্ষ বিদ্যমান থাকা অবস্থায় ভুয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাজিয়ে ফরোয়ার্ডিং দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি তার মনগড়া গভর্ণিং বডি অনুমোদন করেন। পরবর্তিতে এডহক কমিটির সভাপতি মোছাঃ ফেরদৌসি আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবী করে মহামন্য সুপ্রিম কোর্টের মডিফিকেশন আনয়ন করে ফুল বেঞ্চে ৩০/০১/২০২২ খ্রি. তারিখ শুনানী করেন। যাহা শুনানী শেষে তার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ দাবী করা আবেদনখানা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট রিজেক্ট করে দেন।
কিন্তু প্রধান বিচারপতির আদেশ উপেক্ষা করে গোলাম সরোয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগীভাবে বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের মনগড়া গভর্ণিং বডি অনুমোদন করেছেন। আরো জানা যায় যে, উক্ত মনগড়া গভর্ণিং বডি প্রকাশিত হওয়ার পরে কলেজের একাধীক শিক্ষক, একাধীক অভিভাবক ও এডহক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত পূর্বক বিধিমোতাবেক গভর্ণিং বডি গঠনের দাবী করে আবেদন করেছেন।
এ বিষয় বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষকরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।পরিচাল পরিষদের সভাপতি গোলাম সরোয়ার টুকুর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।