
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
কুয়াকাটার পর্যটন ইউনিয়ন নামে খ্যাত লতাচাপলী ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিষ্টারের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে সূত্রে জানাযায়, মাওঃ মোঃ আমির হোসেন একবছর পূর্বে কলাপাড়া উপজেলার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব পেয়ে ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল জেলা রেজিষ্ট্রার এর কাছে যোগদান পত্র জমা প্রদান করে কার্যক্রম শুরু করেন। সেলক্ষে জেলা রেজিষ্টার বিগত ১৩-০৯-২০২১ইং ৫২৩ (২) নং স্মারকের চিঠির মাধ্যমে সাবেক ইউনিয়ন নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার মোসলেম আলী সাহেবকে বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রি সংক্রান্ত যাবতীয় জনগুরুত্ব রেকর্ড পত্র/নথি পত্রাদি (পূরাতন বালাম/রেজিষ্ট্রার) জমা দেয়ার কথা বল্লেও তিনি তা জমা নাদিয়ে তিনি খামখেয়ালীপনা করে আইনের তোয়াক্কা না করে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। জেলা রেজিষ্টারের প্রেরিত চিঠির গুরুত্বারোপ না করে নিজের খেয়াল খুশিমত খামখেয়ালীপনা করে কাগজ পত্র আটকিয়ে রাখেন।
বিষয়টি লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অবগত হলে তিনিও কাগজ পত্রাদি জমা দেয়ার জন্য বলেন, এর পরেও অবসরপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিষ্টার মোসলেম আলী কাজী কারও কথার কোন গুরুত্ব নাদিয়ে সে তার কাজ চালাচ্ছে বহাল তবিয়াতে।
এব্যাপারে কর্তব্যরত নিকাহ্ রোজিষ্টার মাওঃ আমির হোসেন বলেন, ৫বছর পূর্বে মোসলেম আলী সাহেব অবসরে যাওয়ার পরেও তিনি এখনও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে কাবিন নামা প্রদান করে থাকেন, যেটা সম্পূর্ন অবৈধ কাজ। বর্তমানে অনেক লোক পূর্বের নিকাহ্ এর কাবিন নামার নকল নিতে আমার কাছে আসেন। অথচ রেজিষ্টার জমা নাদেয়ায় আমি নকল দিতে পারছি না। আমি নিজেই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের জন্য তার কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু সে কাগজ দিবেনা বলে জানান।
এ বিষয় কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিষ্টার মোসলেম আলীর সাথে তিনি বলেন, মাওঃ আমির হোসেন এর নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপরে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে যে কারণে কাগজ পত্র জমা দেয়া হয়নী।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা রেজিষ্ট্রার মহসিন আলম বলেন, আমি অবসরপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিষ্টার মোসলেম আলীকে তার নিকট যেসকল জনগুরুত্ব রেকর্ড পত্র/নথি পত্রাদি অর্থ্যাৎ পূরাতন বালাম/রেজিষ্ট্রার রয়েছে তাহা জমা দেয়ার জন্য তাকে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু সে এখন পর্যন্ত কাগজ পত্রাদি জমা দেননী। আমি তাকে পূনরায় চিঠি করব এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপকে জানাব।