
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
কুয়াকাটার ১৩২নং রসুলপুর (২) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপ বৃত্তি ও ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা আত্মসাতের পর এবার বিদ্যালয়ের আসবাব পত্র নিজের বাসা বাড়িতে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে দেখাযায় যে, প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়ন ধারায় সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ব্যবস্থার ফলে ওই বিদ্যালয় সহ উপকূলীয় অঞ্চলের সর্বত্র বিদ্যুৎ সংযোগ চালু থাকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিনটি শ্রেণি কক্ষ ও একটি অফিস কক্ষ এ চারটি কক্ষের জন্য চারটি সিলিং ফ্যান ক্রয় করেন। তার মধ্যে তিনটি ফ্যান বিদ্যালয় লাগালেও একটি ফ্যান সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এর বাসায় লাগিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় স্কুলের একটি আলমারি ওই শিক্ষকের বাড়িতে ব্যবহার করতে দেখাগেছে। এযেন ‘ছেলের হাতের মোয়া’ ইচ্ছে হলেই পাওয়া যায়, তদ্রæপ বিদ্যালয়টি নিজেদের বাড়ির সম্মুখে তথা ওই শিক্ষকের বাবা নুর হোসেন মুন্সী দীর্ঘ বছর সভাপতির দায়িত্বে থাকায় যেমন খুশি তেমন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য যে, লতাচাপলী ইউনিয়নের রসুলপুর নামক এলাকায় এ বিদ্যালয়টি অবস্থিত। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ এক কথায় অজপাড়াগাঁ অর্থ্যাৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় লোকজনের যাতায়াত কম থাকায় এখানে যেমন খুশি তেমন কর্মকান্ড চলছে রীতিমত।
অপরদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকাকালিন গ্রামের লোকজন চাঁদা দিয়ে একটি সৌর বিদ্যুতের সোলার ক্রয় করেন। সহকারী শিক্ষকের যোগসাজশে সেটিও এখন লাপাত্তা হয়েগেছে এমনও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারটি ফ্যানের মধ্যে একটি ফ্যান আমার বাড়িতে লাগানো হয়েছে, তবে সেটা আমার জামাতা লাগিয়েছেন। এছাড়া আলমারির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোডেক এনজিওর একটি আলমারি ছিল এনজিওর কার্যক্রম শেষের সময় কর্তৃপক্ষ আলমারিটি আমাকে দিয়েগেছেন।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার (অঃ দাঃ) মোঃ আবুল বশার বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয় আমিও একটি অভিযোগ পেয়েছি, উপ-বৃত্তির টাকা নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম পেলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।