মোঃ মীর মিজান মহিপুর প্রতিনিধিঃ
কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর সংলগ্ন ইদ্রিস হাওলাদারের বাসা থেকে বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে মহিপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭ বস্তা ও ছোট ড্রাম ভর্তি ১২০ কেজি চালসহ মোট ৪৫০ কেজি চাল জব্দ করে মহিপুর থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ইদ্রিস হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন,আমার আত্নীয় স্বজনদের চাল ছিলো আমার বাসায় পুলিশ তা তদন্ত করেছে। কিছু কুচক্রী মহল আমাকে ফাসাতে চেয়েছিলো। আত্নীয় স্বজনদের বাসা দূরে থাকার কারণে তারা আমার বাসায় চাল রেখে যায়।যার সত্যতা পুলিশ খতিয়ে দেখেছে।
এ সময় লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনছান উদ্দিন মোল্লা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ইদ্রিস হাওলাদারের ৪ জন আত্নীয়দের চাল তার বাসায় রেখে যায়। তাদের বিভিন্ন কর্ম ব্যস্ততা ও বাসা বাড়ি দুরে থাকায় তাদের আত্নীয়র বাসায় চাল রেখে যায়। যারা এ সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে থাকে তা যাচাই বাচাই করে তালিকায় নাম দেয়া হয়েছে। এ খানে স্বজন প্রীতির কোন অবকাশ নেই।
এ ঘটনায় লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের তদারকি কর্মকতা ও কলাপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ইলিয়াস খান রানা ওই দিন বিকালে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের জানান,ইউনিয়ন পরিষদের রেজিস্ট্রারি খাতা চালের স্টক মিল রয়েছে। বাস্তবে কি ঘটেছে তা খটিয়ে দেখবে প্রশাসন।
এরপর ঐদিন বিকাল ৫ টার দিকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হাসানাত মোহাম্মদ শহিদুল হক ঘটনা স্থল পরির্দশন করেছেন ও ইউনিয়ন পরিষদের স্টক ও সুবিধাভোগিদের তালিকা যাচাই বাচাই করে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,পরিষদের স্টক ও তালিকার সাথে মিল রয়েছে।
এ বিষয় মহিপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মনিরুজ্জামানে কাছে এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জানতে চাইলে সাংবাদিকদের বলেন,এটা সন্দেহ ছিল যে এটা সরকারি প্রপার্টি কিনা,কিন্তু পরবর্তীতে সরকারি কর্মকর্তারা যারা এর সাথে জড়িত আছে ট্রাক অফিসার ও ফ্যামিলি প্লানিং কর্মকর্তা তারা বলেন এগুলো নিজস্ব সম্পত্তি। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।